শুক্রবার, আগস্ট ২২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধ ও শাহজাহান মাস্টার

মহান মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরা অনকে মুক্তিযোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এর ভূমিকার নেপথ্যে মূল কারিগর হল ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টার। শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন অদম্য সাহসী ও মেধাবী।তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণ তকবগে যুবকদের ডেকে নিয়ে মুক্তি যুদ্ধের অংশগ্রহণ করাতেন। তিনি অসংখ্যক যুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
তিনি সর্বপ্রথম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাতক্ষীরা মহাকুমার মুজাহিদ ক্যাপ্টেন ছিলেন। একই সাথে তিনি দেবহাটা থানার টাউন শ্রীপুর শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ৭ই মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর পরই তিনি তার মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে টাউন শ্রীপুর হাই স্কুলে একটি ক্যাম্প তৈরি করেন। এরপর শুরু হয় এলাকার যুবকদের নিয়ে ট্রেনিং দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করানো। তৎকালীন সময় বিভিন্ন এলাকার শিক্ষিত অশিক্ষিত যুবক ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করানোর জন্য তাকে অনেকেই সহযোগিতা করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেবহাটা থানার কামটা গ্রামের সনৎ কুমার সেনগুপ্ত (সন্তু বাবু),পাইকগাছা আওয়ামী লীগ এমপি এমএ গফুর, ইপিআরের নায়ক সুবেদার আইয়ুব আলী, দেওয়াটা থানার পারুলিয়া গ্রামের তৎকালীন পোস্ট অফিসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মোঃ আতিয়ার রহমান, তৎকালীন দেবহাটা থানার ওসি হায়েজ উদ্দিন, এ এফ এম ইন্তাজ আলী, এবং শেষে এসে যোগ দেন তৎকালীন এম এল এ, স ম আলাউদ্দিন।
অনেক সময়ে গড়িয়ে যাওয়ার পরে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার টাকিতে গড়ে তোলা হয় মুজাহিদ ক্যাম্প বা মুক্তিযুদ্ধা ক্যাম্প। পরে তৎকালীন বাংলাদেশ এর অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ এর স্বাক্ষরিত সেক্টর গঠনের সময় ৯ নম্বর সেক্টরের টাকি ক্যাম্পের লিখিত দায়িত্ব দেন ক্যাপ্টেন শাহাজান (মুজাহিদ) কে।(সূত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল পত্র একাদশ খন্ডে ৭৩৪ পৃষ্ঠায়।
৯নং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সেক্টর উপ কমান্ডার হিসাবে।
৯নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর এম এ জলিল রচিত ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’ বইয়ে সাতক্ষীরার কয়েকজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকের নাম উল্লিখিত হয়েছে। ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার ছিলেন অদম্য সাহসী ও অকুতোভয় সৈনিক। ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টারের নেতৃত্বে দূরদর্শিতায় দ্রুত মুক্ত হয় এই অঞ্চল।
কিন্তু সাতক্ষীরা মুক্তি যুদ্ধের রচিয়তা কে ভূলে যেতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা প্রশাসন তার মৃত্যু দিনটা ও স্বরণ করে না।
শুধু তার গ্রামের বাড়িতে এবং টাউন শ্রীপুর হাই স্কুলে ২৩ শে জুলাই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়।
একজন প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন সাতক্ষীরার মুক্তি যুদ্ধের প্রাণ পুরুষ। তার অদম্য সাহসীকতায় এই অঞ্চল দ্রুত পাকবাহিনী মুক্ত হয়েছে। কিন্তু সেই মানুষটাকে কেউ স্মরণ করে না। দুংখজনক শাহাজাহান মাষ্টার কে বাদ দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব না। শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন থাকবেন আমাদের মাঝে।
(চলবে)

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘আর একটা পাথর সরানো হলে জীবন ঝালাপালা করে দেবো’ : সিলেটের ডিসি সারোয়ার আলম

‘আর যদি একটি পাথরও সরানো হয়, জীবন ঝালাপালা করে দেবো’— বলে কঠিনবিস্তারিত পড়ুন

পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম যুক্ত হচ্ছে: আসিফ মাহমুদ

আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গুরুত্ব দিয়ে স্থান পাচ্ছে জুলাইবিস্তারিত পড়ুন

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ করারবিস্তারিত পড়ুন

  • ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পরবর্তী সরকারে কোনো পদে থাকব না- ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  • বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুমোদন
  • গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন, তারপর নির্বাচন: আখতার হোসেন
  • জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ ঘোষণার নির্দেশ
  • ভাত না জোটার দেশে হাঁসের মাংসবিলাস শোভনীয় নয়: আলাল
  • যশোরের শার্শায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
  • সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
  • সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন
  • যশোর-৬ এবি পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহমুদ হাসান
  • গুলিবিদ্ধ ১৬৭ জনের অনেকেরই মাথার খুলি ছিল না
  • ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ
  • জামায়াতকে নিয়ে ‘ঐক্যের পথে’ ইসলামি দলগুলো