কলারোয়ায় লকডাউনে বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষেরা
রমজান মাসের শুরুতেই দেয়া এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে পরে আরও ৭দিন লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন দেশের নিম্নআয়ের মানুষ। চিন্তার ভাঁজ খেটে খাওয়া দিনমজুরদের কপালে। তাদের চোখে-মুখে একটাই প্রশ্ন, কিভাবে হবে সম্ভাব্য খাবার সংকটের সমাধান? জীবন বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতার দিকেই চেয়ে আছেন শ্রমজীবী মানুষরা।
লকডাউনে থমকে গেছে কলারোয়া উপজেলার কলাটুপি বাজারের মুরগী বিক্রেতা সামিরুল মিয়ার জীবনটাও। দুপুর হতে না হতেই আগে যেখানে বিক্রি করে ফেলতেন ১০ থেকে ২০টি মুরগি সেখানে বেচা হয়নি একটিও।
সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনে সামিরুল মিয়ার মতই আবারো দিশেহারা কলারোয়ার উপজেলার বিভিন্ন পেশার খেটে খাওয়া মানুষ। কারো কারো দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় নেমে এসেছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
গতবছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতা এসব খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সুখকর ছিলনা। এবার টিকে থাকতে কিছুটা হলেও সরকারি সহায়তার প্রত্যাশায় তারা।
উপজেলার কলাটুপি গ্রামের মোঃ হাসান হোসেন একজন রিকশাচালক বলেন, ‘করোনার কারণে রাস্তায় লোকজন কম। পেট তো আর লকডাউন বোঝে না। সকালে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। একজন যাত্রী পেয়েছি এখন পর্যন্ত। পুলিশ রিকশা কলারোয়ার শহরের দিকে যেতে দিচ্ছে না এমন হলে আমরা চলবো কীভাবে।’
হাসান হোসেনের মতো আরও অনেক নিম্ম আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন এই লকডাউনে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের ১০ দিন চলছে। এই লকডাউনের মধ্যেই পেটের তাগিদে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ। তাদের একটাই লক্ষ্য, কাজ করে টাকা উপার্জন করে পরিবারের সদস্যদের মুখে কিছু খাবার জোটানো।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)