টমেটো ও লাউ গাছের উপর এ কেমন শত্রুতা
কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গরিব কৃষকের ১৫ শতাধিক ফলন্ত টমেটো ও ৩ শতাধিক লাউ গাছ সহ বিভিন্ন সবজি গাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। গত শনিবার রাত্রে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের আজিবার রহমানের মৎস ঘেরের বেড়িবাঁধে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ বর্গাচাষি কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের গোলাম গাজী জানান, তিনি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আজিবার রহমানের ৮৪ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে সেখানে মৎস ও ধান চাষ এবং বেড়িবাঁধে ১৫ শতাধিক টমেটো ৩ শতাধিক লাউ, বেগুন সহ বিভিন্ন সবজির চারা লাগিয়েছিলেন। প্রতিটি গাছে ফুল-ফল ধরেছিল। ফলন্ত গাছগুলো কেটে ফেলায় তার অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে।
দিশেহারা কৃষক ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষেতে বসে বিলাপ করছেন আর কাঁদছেন। কৃষক গোলাম এর স্ত্রী ফজিলা খাতুন বলেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন অসুস্থ, অপারেশন সহ নানা শারিরীক জটিলতায় ভুগছে। তার পরিবারের সদস্যরা হাড়ভাংগা পরিশ্রম আর ঋণ নিয়ে এই চাষাবাদ করেছি ফলন্ত গাছগুলো কেটে দিয়ে তাদেরকে নি:স্ব করে দিয়েছে। এখন তার স্বামীর চিকিৎসা ও ঋণের টাকা শোধ করব কি দিয়ে? ইদ্রিস, নূর হক এবং নিরাপদ তাদের এ ক্ষতি করেছে জানিয়ে তাদের বিচার ও ক্ষতিপূরনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ঘটনায় জমির মালিক কালাচাঁদ গাজীর পুত্র মো: আজিবার রহমান কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সম্পত্তিটি নিয়ে শংকরপুর গ্রামের মৃত জিয়াদ আলী কাগুচির পুত্র মো: ইদ্রিস আলী কাগুচি (৪৬), কৃষ্ণনগর গ্রামের আহম্মাদ আলী সরদারের পুত্র নুর হক সরদার (৪৫), শাহাপুর গ্রামের নারায়নের পুত্র নিরাপদ (৫৮) এর সাথে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। তারা উক্ত সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্য প্রায়ই ভয়ভিতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে থাকে। শনিবার গভীর রাতে তারা সহ ৭-৮ জন সংগবদ্ধ হয়ে সম্পত্তিটিতে লাগানো টমেটো, লাউ, বেগুন সহ বিভিন্ন শাক-সবজির গাছ কর্তন ও ঘেরা বেড়া ভেঙে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে ক্ষতি সাধন করেছে।
অভিযুক্ত ইদ্রিস কাগুচির কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে বলেন, শত্রুতা করে তাদেরকে ফাসানোর জন্য এমনটি ঘটিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুদেব পাল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)