বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

টাকা পেলেই করোনা সার্টিফিকেট দেন ডা. শাহ আলম!

করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় ঢাকার জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, তখন সিলেটে খোঁজ মিলেছে ভয়ানক এক চিকিৎসকের! যিনি নমুনা পরীক্ষা তো দূরের কথা, রোগী না দেখে টাকা পেলেই দিয়ে দেন ‘নন কভিড সার্টিফিকেট’।

তার টার্গেটে থাকেন বিদেশযাত্রীরা। প্রতি সার্টিফিকেটের জন্য নেন চার হাজার টাকা। তবে রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি খুবই কৌশলী। করোনা নেগেটিভ রিপোর্টের পরিবর্তে দেন ‘নন কভিড’ প্রত্যয়নপত্র। এ এইচ এম শাহ আলম নামের ওই চিকিৎসক নিজেকে ওসমানী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তিনি সেখানে কর্মরত নন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. এ এইচ এম শাহ আলম নগরীর মধুশহীদ এলাকায় মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচতলায় চেম্বার করেন। বিদেশযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দেশ ও এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সার্টিফেকেট বাধ্যতামূলক করার পর প্রবাসীদের টার্গেট করেন ডা. শাহ আলম। বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বিদেশযাত্রীদের কাছে খবর পৌঁছান ‘করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট’র ব্যবস্থা করে দেওয়ার। ‘করোনা নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলে বিদেশযাত্রীদের কাছ থেকে তিনি চার হাজার টাকা করে আদায় করেন। ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে তিনি ওই প্রবাসীকে ডেকে নিয়ে হাতে ধরিয়ে দেন প্রত্যয়নপত্র। রোগী বা যাত্রীকে না দেখেই নিজের প্যাডে দেওয়া ওই প্রত্যয়নপত্রে ডা. শাহ আলম লিখে দেন, তিনি ওই ব্যক্তিকে তার চেম্বারে দেখেছেন। তার মধ্যে কভিড-১৯ এর কোনো লক্ষণ নেই। এ ছাড়া প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে উপসর্গহীনদের করোনা পরীক্ষার সুযোগ নেই। এদিকে সংশ্লিষ্ট ট্রাভেলস বা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগের পর বিদেশযাত্রীরা বুঝতে পারেন ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে ডা. শাহ আলম প্রতারণা করেছেন। কিন্তু ফ্লাইটের সময় ঘনিয়ে আসায় তারা ঝামেলায় না জড়িয়ে ঢাকায় গিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশ চলে যান।

নিজের পরিচয়ের ক্ষেত্রেও প্রতারণার আশ্রয় নেন ডা. শাহ আলম। তার প্রত্যয়নপত্রের নিচে নিজের পদবি লেখেন ‘মেডিকেল অফিসার, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’। কিন্তু ওসমানী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, ডা. এ এইচ এম শাহ আলম ওসমানীতে কর্মরত নন।

এ ব্যাপারে ডা. শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার বিনিময়ে ‘নন কভিড প্রত্যয়নপত্র’ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, চার হাজার টাকা নয়, দুই হাজার টাকা করে নিয়ে তিনি দুজন যাত্রীকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। এভাবে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া সঠিক হয়নি স্বীকার করে তিনি অনুশোচনাও করেন। ভুয়া পদবি ব্যবহারের ব্যাপারে ডা. শাহ আলম জানান, তিনি বর্তমানে কোনো সরকারি হাসপাতালে কর্মরত নন। টাইপের সময় কম্পিউটার অপারেটর ভুলবশত তার নামের নিচে ওসমানী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার লিখে ফেলেছে।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. শিশির চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নমুনা পরীক্ষা ছাড়া কভিড-১৯ এর কোনো ধরনের রিপোর্ট বা প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার কারও নেই। এরকম কাজ কেউ করলে তা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে করেছেন। সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন

একই রকম সংবাদ সমূহ

ডাঃ মাহমুদুল হাসান (পলাশ) ব্যাংককে স্পাইন রিজিওনাল কনফারেন্সে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন

শেখ মাহমুদুল হাসান, কলারোয়া (সাতক্ষীরা): আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদচারণা খুলনা মেডিকেল কলেজের সহকারীবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ার আসাননগর মানব কল্যাণের” উদ্যোগে হতদরিদ্র পরিবারকে ইট প্রদান

হাবিবুল্লাহ বাহার, কলরোয়া: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া গ্রামের নওশের আলীরবিস্তারিত পড়ুন

পদ্মা সেতুতে গাড়ি থামানো ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় টোল আদায়

পদ্মা সেতুতে লাইভ পাইলটিং আকারে চালু হয়েছে আধুনিক ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশনবিস্তারিত পড়ুন

  • ৭ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
  • নতুন বেতন কাঠামোতে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে
  • শেখ হাসিনা বিরোধীপক্ষকে হিটলারের মতো দমন করতেন- মাহমুদুর রহমানের
  • ১২ জেলায় বন্যার সতর্কবার্তা
  • ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এলো
  • জামায়াতের পর এবার খেলাফত মজলিসের কর্মসূচি ঘোষণা
  • পিআর ইস্যুতে জামায়াতের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, কর্মসূচি ঘোষণা
  • কোনো চাপে নয়, ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হয়েছে: উপদেষ্টা
  • ধানের পর কলারোয়ায় এবার পাট দিয়ে তৈরি হলো দুর্গা প্রতিমা
  • সাতক্ষীরা আদালতে কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা
  • ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ‘মহোৎসবের নির্বাচন’: প্রধান উপদেষ্টা
  • ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন