পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় মামলার বাদী পঙ্গু হাসপাতালে
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় জালাল খান নামে মামলার বাদীর ওপর হামলা চালিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জালাল উপজেলার ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মিরুখালী গ্রামের মৃত. সুলতান খান এর পুত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইতোপূর্বে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা মঠবাড়িয়া পৌর শহরে ভুক্তভোগী জালালকে একা পেয়ে জিম্মি করে কথিত এক নেতার বাসায় নিয়ে একাধিক ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন। ওই সময় স্বাক্ষর দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই নেতার বাসায় বসে তাকে মারধরও করা হয়। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওই পরিবার।
জিডি করার কথা জানতে পেরে ডাকাতি মামলার সাক্ষী দেওয়ার জেরসহ বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে দুর্বৃত্তরা জালালকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। জালাল ভীত হয় প্রশাসনকে জানানোর পাশাপাশি স্থানীয় একটি ফেসবুক টিভিতে সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ঠিক এর একদিন পরই তার ওপর নিশংস হামলা চালায় ওই চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।
শনিবার ৩ অক্টোবর সন্ধ্যার পর লতিফ চৌকিদারের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার সময় ১০/১২ জনের দুর্বৃত্তদের একটি দল তাকে জিম্মি করে হাত ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রামদা, লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে হামলা করে তার দুটি পা ও একটি হাত ভেঙে ফেলে।লতিফ চৌকিদার ও তার স্ত্রী উদ্ধার করতে এসে রক্ত দেখে অজ্ঞান হয়ে যান দক্ষিণ মিরুখালী গ্রামের সাবেক ওই চৌকিদার।
এরপর স্বজনরা গুরুতর আহত জালালকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশালে রেফার্ড করেন তাকে। সেখান থেকে তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী সীমা বেগম। এ পর্যন্ত ১০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে তাকে। তবে এখনও জ্ঞান ফেরেনি তার।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, ‘উপজেলার দক্ষিণ মিরুখালী গ্রামের জালালের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনা অবগত হয়েছি। এ ঘটনায় মামলা রুজু হওয়ার পর আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)