বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত

ভারতের কেন্দ্রীয় শুল্ক বোর্ড সিবিআইসি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের জন্য ভারতীয় স্থলবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পাঠানোর ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সিবিআইসি জানায়, ২০২০ সালের ২৯ জুনে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে যে সার্কুলার প্রকাশ করা হয়েছিল- তা বাতিল করা হয়েছে। ​

২০২০ সালের সার্কুলারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার রপ্তানি পণ্য ভারতের স্থল কাস্টমস স্টেশন এলসিএস ব্যবহার করে ভারতের সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর হয়ে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো তৃতীয় দেশে পাঠাতে পারত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, এর আওতায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের খরচ ও সময় অনেক কমে আসত। ​

প্রতিবেদনে ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের স্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মনে করছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরে দেওয়া কিছু মন্তব্য ভারতের উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা চীনা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে সে সময় বলেছিলেন, “ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য ভূমিবেষ্টিত। আমরা এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। এটি একটি বিশাল সুযোগের দ্বার উন্মেচিত করেছে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হয়ে উঠতে পারে।”

এই মন্তব্য ভারতের কূটনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একে ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ এবং ‘সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ​

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে যখন ঢাকার সম্পর্কের অবস্থা ভঙ্গুর- তখন চীনকে নতুন কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চিত্রিত করাও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে।

ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের খরচ ও সময় বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ভুটান ও নেপালের মতো ভূমিবেষ্টিত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি হবে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী, সদস্য দেশগুলোকে ভূমিবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য অবাধ ট্রানজিট সুবিধা নিশ্চিত করতে হয়। ১৯৯৪ সালে সংস্থাটির জারি করা জেনারেল অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড ( জিএটিটি) এর অনুচ্ছেদ পাঁচ অনুসারে, সব সদস্যকে স্থলবেষ্টিত দেশগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট প্রদান করতে হবে। এতে কোনো নির্দিষ্ট সীমা দেওয়া যাবে না এবং পরিবহন শুল্কের আওতায় ফেলা যাবে না।

ফলে ভারতের এই সিদ্ধান্ত নেপাল ও ভুটানের ক্ষেত্রে ডব্লিওটিও’র নিয়মাবলীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ভারতের জন্য তেলের দামে ৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা রাশিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারতের কাছে সস্তায় অপরিশোধিত তেল বিক্রি অব্যাহতবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশকে দেখে মার্কিন তুলা আমদানিতে শুল্কছাড়ের সিদ্ধান্ত ভারতের

বাংলাদেশের দেখাদেখি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানিতে শুল্কছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। তাদের এইবিস্তারিত পড়ুন

বাসভবনে ঢুকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ‘চড়’!

সাপ্তাহিক ‘জনশুনানি’ চলছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। হঠাৎ-ই একজন কাগজ দেওয়ার নাম করেবিস্তারিত পড়ুন

  • যশোরের শার্শা সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকসহ তিনজনকে পুশইন!
  • ভারতে তিন মাসে ২২৩ বার ধ/র্ষ/ণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরী!
  • গাজায় গণহত্যা নিয়ে ভারত সরকারের নীরবতা ‘লজ্জাজনক’: প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
  • লোকসভা ভেঙে দিন, বিজেপিকে কেউ বাঁচাতে পারবে না: অভিষেক
  • ভারতে দুই ঘণ্টা পর ছাড়া পেলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কাসহ ৩০ এমপি
  • ‘ভোট চোর, গদি চোর’ স্লোগানে উত্তাল দিল্লি, অজ্ঞান ২ নেত্রী
  • ভারতীয় পণ্যের ক্রয়াদেশ স্থগিত করলো অ্যামাজন ও ওয়ালমার্ট
  • ভারতের ওপর হঠাৎ এত ক্ষেপলেন কেন ট্রাম্প?
  • ভারতের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ যুক্তরাষ্ট্রের, বিরাট সম্ভাবনা বাংলাদেশের
  • ভারতের আশাভঙ্গ: ট্রাম্প-মোদীর বিরোধ চরমে
  • বাংলাদেশি পর্যটক হারিয়ে কাঁদছেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা
  • বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসার খরচ বাড়লো