মৌলভীবাজারে ঘর পেয়ে আনন্দাশ্রু তিন বীরাঙ্গনার চোখে
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার তিন বীরাঙ্গনা শিলা গুহ, মনোয়ারা বেগম ও মায়া খাতুন। স্বাধীনের পর এই তিনজনই বিতাড়িত হয়েছিলের সংসার থেকে। যে দেশের জন্য তারা সহে ছিলেন পাকবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন দেশ স্বাধীনের পর সেই স্বাধীন দেশে তারা ছিলেন পরের আশ্রিতা হয়ে।
দীর্ঘ ৪৯ বছর তারা স্বপ্ন দেখেছিলের স্বাধীন দেশে তাদের হবে এক খণ্ড জমি, সেই জমিকে থাকবে একটি বাড়ি।
এই স্বপ্ন পূরণে তারা ঘুরেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে, কিন্তু কেউ তাদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসেনি। অবশেষে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করে দিলেন।
আজ শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৭১ জন গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্য এই তিন বীরাঙ্গনাকেও লাল সবুজের তিনটি নতুন ঘর ও জমি প্রদান করা হয়। বিকলে মহাজীরাবাদ গ্রামে এই ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব এটিএম কামরুল ইসলাম তালুকদার।
ঘর পেয়ে শিলা গুহ বলেন ‘এই ৪৯ বছর আমি কেঁদেছি মনের কষ্ট থেকে। আর আজ আমি কাঁদছি মনের আনন্দে। আমার চোখে আনন্দাশ্রু।
এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞ। তিনি আমার স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এখন আমি মনে গিয়ে শান্তি পাব। যে দেশের জন্য কষ্ট সহ্য করেছিলাম, দেরিতে হলেও সেই দেশে মাথা গুজার ঠাঁই পেয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া চাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে এতোদিন তাদের জমি এবং ঘর কিছুই ছিলনা। এই মুজিব বর্ষে তিনজন বীরাঙ্গনাকে আমরা তিনটি ঘর দিতে পেরেছি। আর এই কাজের অংশীদার হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)