লাউডস্পিকারে গান বাজাতে নিষেধ করায় রাতে ঘুমন্ত যুবককে তুলে নিয়ে বেঁধে নির্যাতন
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজনা বন্ধ করে দেয়ায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে এক যুবককে নির্মমভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।(৩ মে)মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে উপজেলার তিওরবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শারিরীক নির্যাতনের পরে অচেতন হয়ে পড়লে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গ্রামের একটি মুদিখানা দোকানের পাশে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা।
পরে তিওরবিলা ক্যাম্পের পুলিশের একটি দল জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জাহাঙ্গীর আলম তিওরবিলা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম।
জাহাঙ্গীরের বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, ঈদের দিন বিকেলে এলাকার মৃত তালুক মন্ডলের দুই ছেলে ঠান্ডু ও বান্টু সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজনা করছিল। আমার ছেলে নামাজি হওয়ায় তাদের গান বন্ধ করে দেয়। সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে পরে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এরই জের ধরে গভীররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার ছেলেকে ঠান্ডু, বান্টু, ফাতেহ আলী, জীবন ও বসিরসহ কয়েকজন স্থানীয় একটি মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে অচেতন অবস্থায় গ্রামের একটি মুদিখানা দোকানের পাশে রেখে যায়।
পরে টহল পুলিশ আমাদেরকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
জাহাঙ্গীরের ছেলে রেজওয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার আম্মু নানি বাড়িতে ছিল। রাতে আমি ও আমার বাবা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ চেঁচামেচির শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি কয়েকজন লোক আমার বাবাকে বেধড়ক মারধর করতে করতে ঘর থেকে নিয়ে চলে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ খালিদ হাসান বলেন, রাতে পরিবারের সদস্যরা অচেতন অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। তিনি শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মাইকে গান বাজনা বন্ধ করে দেয়ায় জাহাঙ্গীরকে বেধড়ক মারধরের বিষয়টি জেনেছি। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)