শুক্রবার, অক্টোবর ২৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরায় দেশের প্রথম ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধ

ফারুক রহমান, সাতক্ষীরা: শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠান হয়েছে।

শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি ও প্রথম আলো বন্ধু সভার আয়োজনে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসানের সভাপতিত্বে ও প্রথম আলো বন্ধু সভার সভাপতি কর্ন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাদব চন্দ্র দত্ত, ডিবিসির বেলাল হোসেন।

বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আবদুস সামাদ, প্রথম আলো বন্ধু সভার দপ্তর সম্পাদক তারিক ইসলাম, আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সচ্চিদানন্দ দে সদয় প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান। তিনি জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৩০ সালে নানার বাড়ি বুধহাটা গ্রামে আনোয়ার হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল কনুই গাজী ও মায়ের নাম পরীজান বিবি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ছিল সবার বড়।

মেধাবী আনোয়ার হোসেন বাড়ি সংলগ্ন বুধহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। এর পর বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার একপর্যায়ে তিনি খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৬ সালে এসএসসি পাস করেন।

পরে খুলনার বিএল কলেজে পড়াশুনাকালীন ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। তরুণ আনোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদিস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি মুক্তি পান।

পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে প্রথমে তাকে কোতয়ালী থানায় রাখা হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে।

সেখানে পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন তিনি। একপর্যায়ে ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালানো হয়। তাতে সাতজন কারাবন্দি নিহত হন। তার মধ্যে ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন ছিলেন অন্যতম। তাই আমরা বিশ্বাস করি মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন দেশের প্রথম শহীদ। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে তার কোন স্বীকৃতি নেই। তাই আমাদের দাবি শহীদ আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান।

বক্তারা প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সাতক্ষীরা জেলা সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আনোয়ার হোসেনের নামে সরকারিভাবে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও প্রতিষ্ঠান শহীদ আনোয়ার হোসেনের নামে নামকরণ, অবিলম্বে তাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মরণোত্তর একুশে পদক্ষে ভূষিত করার দাবি জানন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বাতিল ইভিএম, ফিরল ‘না ভোট’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগতবিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় প্রায়ই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের খবর পাওয়াবিস্তারিত পড়ুন

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

বৈঠক করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এবিস্তারিত পড়ুন

  • বিশ্ববাজারে আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম
  • পাঁচ দাবিতে চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের যমুনা অভিমুখে যাত্রা, পুলিশের বাধা
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
  • এনসিপিকে জুলাই সনদে সই করার আহ্বান করেছে সরকার
  • হাওরের প্রকল্প স্থগিত
  • কলারোয়ায় দুই মেয়ের পর তৃতীয় মেয়ের জন্ম, নবজাতককে পানিতে ফেলে হ*ত্যা, মা আটক
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়লো, পাবেন দুই ধাপে
  • বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আনলে দিতে হবে না শুল্ক
  • নির্বাচনে এআই’র অপব্যবহার রোধে সেন্ট্রাল সেল করা হবে : সিইসি
  • পর্নো সাইটে চট্টগ্রামের আজিম-মানিকগঞ্জের বৃষ্টির ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম
  • বিমানবন্দরের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি
  • শেখ হাসিনা ও কামাল খালাস পাবেন, প্রত্যাশা আইনজীবীর