ঝুকি নিয়ে পার হচ্ছে মানুষ
সাতক্ষীরার কুলিয়ার লাবণ্যবতী নদীর ওপর কাঠের ব্রিজটি যেন মরণ ফাঁদ!
ব্রীজ তো নয় যেন মরণ ফাঁদ। ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবয়ব নিয়ে সাতক্ষীরার কুলিয়া-শ্রীরামপুর’র লাবণ্যবতী নদীর ওপর শ্রীরামপুর বাজার সংলগ্ন নির্মিত দীর্ঘ দিনের কাঠের ব্রিজটি ভেঙে পড়ে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ব্রীজটি দিয়ে চলাচলকারী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ শ্রীরামপুর বাজারে আসা হাজার হাজার মানুষের প্রায় ৩ বছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া ব্রীজটি পার হতে গিয়ে অনেকেই নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। অনেকেই এই ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ কাঠের ব্রীজ পার হতে গিয়ে হা, পা ভেঙ্গেছে। কেউ কেউ এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ভোমরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নেছারুল্লাহ-আল-মামুন জানান, ১৯৯৫ সালে নির্মিত এই কাঠের ব্রিজটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবয়ব নিয়ে এই কাঠের ব্রীজটি প্রায় ৩ বছর অতিক্রম করলেও মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্রীজ পেরিয়ে যাওয়ার আগেই প্রতিনিয়ত কাঠ ধ্বসে কাঠ ভেঙ্গে নদীর পানিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। ব্রীজটির অধিকাংশ অংশ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি পুরোটাই নিচের দিকে বাঁকা হয়ে ঝুঁকে পড়েছে।
শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা আরিজুল ইসলামসহ স্থানীয়রা বলেন, কয়েক বছর ধরে এই ব্রীজটি ভেঙে পড়ে আছে। কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়, এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে শ্রীরামপুর বাজারে সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজের বাচ্চারা যাতায়াত করে। আমরা বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতে পারি না।। অতি দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করে পথচলা সুগম করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
দীর্ঘদিনের ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ ব্রিজটি অতিদ্রুত সংস্কার করে স্থানীয় জনগন এবং ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারীদের ভোগান্তী থেকে মুক্তি দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল ও এলাকাবাসী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)