শুক্রবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে সোনালী অতীত-ঐতিহ্য

নড়াইলে কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পালাক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতার সোনালী অতীত-ঐতিহ্য। ঠিক তেমনি দেশের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এখন শুধুই স্মৃতি।

এক সময় দেখা যেত সেই কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু ও কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে যেত মাঠের জমিতে হালচাষ করার জন্য। বর্তমানে আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে। তাই আর সকালে কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতে আর দেখা যায় না কৃষকদের।

কৃষি প্রধান বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লাঙল, জোয়াল। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাল চাষের পরিবর্তে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হয়। এক সময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষক গরু, মহিষ পালন করত হাল চাষ করার জন্য। আবার অনেকে গবাদিপশু দিয়ে হাল চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে ছিলেন। আবার অনেকে, ধান গম, ভুট্টা, তিল, সরিষা, কলাই, আলু প্রভূতি চাষের জন্য ব্যবহার করতেন।

নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হাল চাষ করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করত। হালের গরু দিয়ে দরিদ্র মানুষ জমি চাষ করে ফিরে পেত তাদের পরিবারের সচ্ছলতা। আগে দেখা যেত কাকডাকা ভোরে কৃষক গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল নিয়ে মাঠে বেড়িয়ে পড়ত। এখন আর চোখে পড়ে না সে দৃশ্য। জমি চাষের প্রয়োজন হলেই অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়ার টিলারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চালাচ্ছে জমি চাষাবাদ। তাই কৃষকরা এখন পেশা বদলি করে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল দিয়ে জমিতে হাল চাষ। নড়াইলের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আমজাদ বলেন, ছোটবেলায় হাল চাষের কাজ করতাম। বাড়িতে হাল চাষের বলদ গরু ছিল ২-৩ জোড়া। চাষের জন্য দরকার হতো ১ জোড়া বলদ, কাঠের তৈরি লাঙল, বাঁশের তৈরী জোয়াল, মই, লরি (বাঁশের তৈরি গরু তাড়ানোর লাঠি), গরুর মুখে টোনা ইত্যাদি।

আগে গরু দিয়ে হাল চাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো। অনেক সময় গরুর গোবর জমিতে পড়ত, এতে করে জমিতে অনেক জৈবসার হতো। ক্ষেতে ফলন ভালো হতো। এখন নতুন নতুন আধুনিক বিভিন্ন মেশিন এসেছে সেই মেশিন দিয়ে এখানকার লোকজন জমি চাষাবাদ করে। তাই এখনো গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল নিয়ে জমিতে হাল চাষ করা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।

গরুর লাঙল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬৬ শতাংশ জমি চাষ করা সম্ভব। আধুনিক যন্ত্রপাতির থেকে গরুর লাঙলের চাষ গভীর হয়। জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি ও ফসলের চাষাবাদ করতে সার, কীটনাশক কম লাগতো। দিনে দিনে এভাবেই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। আর গরুর গাড়ী শুধু দেখা যায় ১ বৈশাখ পালন করতে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

যশোরের শার্শায় ভ্যানচালক আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-৩

মোঃ ওসমান গনি, বেনাপোল (যশোর): যশোরের শার্শা উপজেলায় নিখোঁজের চার দিন পরবিস্তারিত পড়ুন

নেত্রকোনার মদনে বন্ধুর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় নিজে বাসর ঘরে’ বন্ধুকে দিয়ে বাসর

নেত্রকোনার মদনে বন্ধুর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় নিজে বাসর ঘরে’ বন্ধুকে দিয়ে বাসর বাসরবিস্তারিত পড়ুন

চট্টগ্রাম ইপিজেডে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৬ ইউনিট

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) আল হামিদ টেক্সটাইল নামে একটি পোশাক কারখানায়বিস্তারিত পড়ুন

  • স্ত্রীসহ সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞ
  • দিনাজপুর বোর্ডের ৪৩ কলেজের কেউ পাশ করেনি
  • পিআর-টিআর বাদ দেন, নির্বাচনে আসেন: মির্জা ফখরুল
  • হ্যান্ডবল খেলায় কলারোয়ার মেয়েরা ৩ বার সাতক্ষীরা জেলা চ্যাম্পিয়ন
  • ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ অবরোধ শিক্ষকদের, যানচলাচল বন্ধ
  • ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
  • আমি নিজেই পিআর বুঝি না: মির্জা ফখরুল
  • ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা
  • স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ, দাবি আদায় করে ঘরে ফিরবেন শিক্ষকরা
  • সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক
  • ফিফার ৩০ কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
  • যশোরের শার্শায় নিখোঁজ ভ্যানচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার