কলারোয়ায় স্বামীর হুমকির প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী কর্তৃক বাদীসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কলারোয়ার মুরারীকাটি গ্রামের শরিফুল ইসলামের কন্যা তানিয়া সুলতানা তানিসা।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ১৮ অক্টোবর‘১৯ তারিখে যশোরের ঝিকরগাছা থানার গদখালী গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র মনিরুল ইসলামের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমার ১লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্যে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় কন্যার সুখের কথা চিন্তা করে নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, স্বর্ণের আংটি সহ ঘরের আসবাবপত্র দেন আমার পরিবার। কিছুদিন পর হতে যৌতুক লোভী মনিরুল তার পরিবারের কুপরামর্শে যৌতুকের দাবিতে আমাকে মারপিট করতে থাকে। পিতা-মাতার আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে কিছুদিন নিরবে নির্যাতন সহ্য করলেও গত ২০ ফেব্রুয়ারি‘২০ তারিখে পুনরায় যৌতুক দাবি করে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পিতার বাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করলেও মনিরুল কোন খবর না নেওয়ায় ১০ আগস্ট‘২০ তারিখে মিমাংসার জন্য স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে তাদের বাড়িতে গেলে মনিরুল আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। সেসময় উপস্থিত ব্যক্তিরা তার হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তিনি আরো বলেন, এঘটনায় আমি কলারোয়ার বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকে অভিযোগ করলে ব্র্যাকে তাকে দুই বার নোটিশ করলেও মনিরুল হাজির হয়নি। পরে উপায়ন্তর হয়ে আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে একটি মামলা দায়ের করি। মামলায় পুলিশ তাকে আটক করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ০৮ নভেম্বর‘২০ তারিখে আদালত জামিনে মুক্তি পেয়েই মনিরুল আমাকে ১নং আসামী করে আমার পিতা-মাতাসহ ৭ জনের নামে ঝিকরগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মনিরুল ইসলামের বাড়ি থেকে আমি নগদ ৪০ হাজার টাকাসহ ১ লক্ষ ২৩ হাজার স্বর্ণের গহনা চুরি করে নিয়ে এসেছে মর্মে একটি মিথ্যা কাল্পনিক মামলা দায়ের করে। বিবাহের সময় মনিরুলের পরিবার বলেছিল তার পূর্বে একটি মাত্র বিবাহ ছিলো। অথচ বিবাহের পরে আমি বুঝতে পারি মনিরুলের ইতোপূর্বে একাধিক স্ত্রী ছিলো। পূর্বের স্ত্রীদের কাছ থেকেও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাদের কে তাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া বিবাহের সময় মনিরুল বেনাপোল পোর্টের কর্মরত থাকার কথা বললেও ধীরে ধীরে আমি বুঝতে পারি মনিরুল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আমাকে বোতলজাত করে ব্যাগ ভর্তি করে কাশির সিরাপ বলে ঢাকা যেতে বলেছিল। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি ওই ব্যাগে ফিন্সিডিল ছিলো। আমার শশুর খলিলুর রহমান পেয়ারার কাটুনের মধ্যে ফেন্সিডিল সাজিয়ে পাচার করে। আমার সুখের জন্য পিতা-মাতা ঋণ করে স্বামীর সকল চাহিদা করেছে।
তিনি অসহায় পরিবারের কন্যা হিসেবে মাদক ব্যবসায়ী মনিরুল গংয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)