শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে স্বামী-স্ত্রী, তবে স্ত্রীর সমর্থনে স্বামী

সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার ৩য় নির্বাচন আগামি ৩০ জানুয়ারী। এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ প্রার্থীর মধ্যে লড়ছেন স্বামী ও স্ত্রী। স্বামী গাজী আক্তারুল ইসলাম বর্তমানে পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত মেয়র। আর তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা।
একই পদে একই সাথে স্বামী-স্ত্রীর লড়াইয়ের বিষয়টি সর্বত্র এখন আলোচিত। তবে কাগজে কলমে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের প্রার্থীতা থাকলেও কার্যত ও বাস্তবে স্ত্রী নার্গিস সুলতানা প্রচারণায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্বামী আক্তারুল ইসলাম।

ইতোমধ্যে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আক্তারুল ইসলাম পেয়েছেন নারকেল গাছ প্রতীক ও তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা পেয়েছেন জগ প্রতীক। নারকেল গাছ দেখা না গেলেও সর্বত্র জগের জয়গান করতে শুরু করেছেন আক্তারুল নিজেই।

একই পদে স্বামী ও স্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে সর্বত্র। তবে প্রচারণায় আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস সুলতানার জগ প্রতীকের সমর্থনে মাইকিং, পোস্টার, গণসংযোগ দেখা মিললেও তার স্বামী অপর প্রার্থী আক্তারুল ইসলামের নারকেল গাছ প্রতীকের কোনও কার্যক্রম চোখে পড়ে নি। আক্তারুল ইসলাম নিজেই তার স্ত্রীর জগ প্রতীকের নির্বাচনে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আক্তারুল ইসলাম পরপর দুই বার মেয়র নির্বাচিত হন। তবে বেশিরভাগ সময় তাকে থাকতে হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত হয়েই। যখন তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তখন অত্যন্ত অল্প বয়সেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে কলারোয়া পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে প্রথমবার নির্বাচন না হলেও সেই নির্বাচনে সরাসারি দলীয় সমর্থনে আ.লীগ, বিএনপি, জামায়াতের প্রার্থীসহ ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৬ সবাই মিলে প্রার্থী প্রায় ৭হাজার ভোট পেয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল সভাপতি আক্তারুল ইসলাম ৬৩৩৭ ভোট পেয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন। আর ২০১৬ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনে আ.লীগ দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন উপজেলা বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুল ইসলাম ৫৬৪৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। দুই মেয়াদের বেশিরভাগ সময় তাকে থাকতে হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে। ২০২১ সালে এসে এবারের ৩য় নির্বাচনে বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন পান নি আক্তারুল। এছাড়া শেখ হাসিনার গাড়িবহর হামলা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষপর্যায়ে থাকায় আর ওই মামলার আসামি হওয়ায় আক্তারুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিলো অনিশ্চয়তায়। সেলক্ষ্যে তার কর্মী-সমর্থকদের চাপে ও কারণে তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানাকে প্রার্থী করেছেন- এমনটাই জানালেন আক্তারুল ইসলাম।

স্বামী-স্ত্রী দু’জনে একসাথে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে দু’জনে নয়, একক প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীকক নিয়ে আমার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা মূল প্রার্থী। আমার প্রতীক থাকলেও আমি নির্বাচন করছি না। সময়মতো সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি নিজে বর্তমানে আমার স্ত্রী নার্গিস সুলতানার জগ প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচন করে যাচ্ছি।’

এদিকে, কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫জন মেয়র, ৩৯জন কাউন্সিলর ও ১৩জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের পদচারণায় পুরোদমে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। মাইকিং, পোস্টারিং, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে বা চায়ের দোকানে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নিজেদের ভোট প্রার্থনা করছেন। চলছে মিছিল ও অন্যান্য নির্বাচনি কর্মযজ্ঞতাও। হাঁকে ডাকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়তে দেখা যাচ্ছে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের। এরমধ্যে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে স্বামী ও স্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি। স্বামী-স্ত্রী আক্তারুল-নার্গিস ছাড়াও মেয়র পদে আ.লীগের নৌকা প্রতীকের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, বিএনপি’র ধানের শীষের শরীফুজ্জামান তুহিন ও স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা আ.লীগের নির্বাহী সদস্য সাজেদুর রহমান খাঁন মজনু চৌধুরী মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘আমার স্বামীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা আছে। তাকে যেকোন মুহূর্তে গ্রেফতার বা কারাগারে যেতে হতে পারে। আমার স্বামী দুই বারের মেয়র এবং খুবই জনপ্রিয়। জনগণের চাওয়ায় দু’জনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। প্রতীকও পেয়েছি। কৌশলগত কারণে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন নি, তবে তিনি নির্বাচন করছেন না। আমার পক্ষেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমার জগ প্রতীকের সমর্থনে ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণার কাজ শুরু করেছি। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চাই। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হলে আমি জয়ী হবো।’

আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রীর প্রচারণায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা যদি স্বামী-স্ত্রী উভয় প্রার্থীও শেষ পর্যন্ত থাকি তাহলেও অন্য প্রার্থীদের চেয়ে আমরা এগিয়ে থাকবো।’
তিনি তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানার জগ প্রতীকের সমর্থন ও ভোট কামনা করেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘কোন মানুষ যেন হয়রানি না হয়’ : কলারোয়ায় সাবেক এমপি হাবিব

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিববিস্তারিত পড়ুন

আগামি নিবার্চনে ধানের শীষে ভোট দিবেন : কলারোয়ায় সাবেক এমপি হাবিব

কেএম আনিছুর রহমান ও দেবাশীষ চক্রবর্তী বাবু: বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় সাংবাদিক শেখ জিল্লুর মায়ের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ার বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক প্রয়াত শেখ ইমান আলির সহধর্মিণী প্রয়াতবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়া নিউজ ও আওয়ার নিউজের আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন, ইফতার মাহফিল
  • সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক আটক
  • কলারোয়ায় জামায়াতের উদ্যোগে রমজান, যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনার
  • সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে কলারোয়ার বাচ্চু ও গালিব
  • কলারোয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত
  • কলারোয়ায় এক বাক প্রতিবন্ধীর ডুবন্ত লাশ উদ্ধার
  • কলারোয়ায় ইফতার মাহফিলে সাবেক এমপি হাবিব
  • কলারোয়ায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর দিনক্ষণ গুনছে সাংবাদিক আব্দুল হামিদ
  • কলারোয়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
  • কলারোয়া ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
  • সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন কলারোয়ার ফারহানা নাজনীন
  • কলারোয়ার দেয়াড়ায় বিএনপি’র ইফতার মাহফিলে সাবেক এমপি হাবিব