নিন্মমানের কাজে বাধাঁ দেয়ায় উল্টো কলারোয়া পৌর প্রকৌশলীকে মারপিট!


সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় রাস্তার পাশে নি¤œমানের প্যারাসাইডের ওয়াল নির্মানে প্রতিবাদ করায় পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী
(সিভিল) শেখ রুহুল আমিনকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। কলারোয়া পৌর সদরের শেখ আমানুল্লাহ কলেজের সামনে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে সরদারপাড়া রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, কলারোয়া পৌরসদরের শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের সামনে দিয়ে তুলাশীডাঙ্গা সরদারবাড়ি যাওয়ার পাকা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য মেসার্স আসাদুজ্জামান সেলিম নামে এক ঠিকাদার দায়িত্বপান। তবে স্থানীয় ঠিকাদার পৌর সদরের গদখালী গ্রামের নাজমুল ইসলাম রাস্তাটি দেখাশুনা করেন। ঠিকাদার রাস্তাটি শুরু হওয়ার আগে স্থানীয় রাজমিস্ত্রি মিঠুর সাথে রাস্তার পাশে প্যারাসাইডের ওয়াল নির্মানের চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী মিঠু লেবার দিয়ে কাজ শুরু করেন। শুরু থেকেই পৌরসভার নিয়মানুযায়ী কাজ না করে নি¤œমানের মালামাল দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন পৌরসভার প্রকৌশলী সহিদুল ইসলামকে জানালে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে তার নেতৃত্বে উপ- সহকারী প্রকৌশলী শেখ রুহুল আমিন, স্থানীয় ঠিকাদার নাজমুল ইসলাম ও রাজমিস্ত্রি মিঠু ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান।
সেসময় পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শেখ রুহুল আমিন ওই কাজের প্রতিবাদ করলে তুলশীডাঙ্গা গ্রামের লেবার আশিক তার পিতা সিরাজুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে ডাকে। সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে কোন কিছু না শুনেই প্রকৌশলী শেখ রুহুল আমিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কিল, চড়, থাপ্পড় মেরে আহত করে। পরে সাথে থাকা প্রকৌশলী সহিদুল ইসলামসহ ওই তিনজন তাকে উদ্ধার করে পৌরসভায় নিয়ে আসে।
কলারোয়া পৌরসভার প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগি প্রকৌশলী শেখ রুহুল আমিন বলেন, নি¤œ মানের মালামাল দিয়ে ওই রাস্তার প্যারাসাইডের ওয়াল নির্মানের কাজে প্রতিবাদ করায় তার উপর হামলা চালানো হয়েছে। পরে হামলাকারী সিরাজুল ইসলাম পৌরসভায় এসে ক্ষমা চাওয়ায় তাকে মাপ করে দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত তুলশীডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইঞ্জিনিয়ার স্যারের গায়ে হাত দেয়া আমার ভুল হয়েছে। পরবর্তীতে পৌরসভায় গিয়ে আমি তার নিকট ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে নিয়েছি।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সত্য ও দু:খজনক। তবে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে এবং অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ক্ষমা চাওয়ায় বিষয়টি মিমাংসা করে নেয়া হয়েছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
