নড়াইলে মৃত্যুর ৬ মাস পর কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্ত
নড়াইল সদর থানার জদুনাথপুর গ্রামে কবর থেকে ৬ মাস পর উম্মে হানি মোস্তারি(তন্নীর) (২০),এর লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওঠানোর পরে আবারো দাফন করা হয়েছে।
পারিবারিক ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে,লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের তবিবার রহমানের তুরষ্ক প্রবাসী ছেলে ফরিদ রহমান (৩২) এর সাথে নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউপির জদুনাথপুর গ্রামের জালাল মোল্যার মেয়ে ওম্মে হানি মোস্তারি তন্নী (২০)’এর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় এক বছর পর তন্নীর স্বামী দেশে ফিরে আসেন এবং তাদের ঘর আলো করে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট তারিখে তন্নী তার শ্বশুর বাড়ি মাকড়াইলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তন্নীকে মৃত ঘোষণা করেন। উভয় পরিবারের সম্মতিতে লাশের কোন রকম ময়নাতদন্ত ছাড়াই তন্নীর লাশ তার বাবার বাড়ি জদুনাথাপুর গ্রামের কবর স্থানে ধর্মীয় মতে দাফন করা হয়। এ ঘটনার প্রায় ৪ মাস পর তন্নির বড় ভাই জানতে পারেন যে,তার বোন তন্নীকে শ্বশুর বাড়ির পক্ষের লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এরপর তন্নীর বড় ভাই ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারী নড়াইলের বিজ্ঞ আমলী আদালতে তন্নীর স্বামী ফরিদ সহ ৫ জনকে আসামি করে নালিশি আবেদন করেন।
আদালত ঘটনা আমলে নিয়ে লোহাগড়া থানায় একটি এফআইআর করার আদেশ দেন। আদেশের পর মঙ্গবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নড়াইল জেলার এক্সজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আলাউদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মাহামুদুর রহমানের উপস্থিতিতে মৃত তন্নীর কবর খুড়ে মৃত দেহের বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ করে পুনরায় দাফন সম্পন্ন করেন। এলাবাসী জানান,তারা তন্নীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহামুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত স্বামী ফরিদকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)