খুলনার কয়রায়
পদের লোভে হরিণের মাংস বহনকালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার ভগ্নিপতিসহ আটক ২
খুলনার কয়রায় স্কুল ব্যাগে করে হরিণের মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো: সালাউদ্দীন আহম্মদের ভগ্নিপতি সহ স্থানীয় মসজিদের ঈমামকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫ নং কয়রা গ্রামের জুনিয়ার মোড় এলাকা থেকে ১ জনকে এবং তার জিজ্ঞাসা বাদে প্রাথমিক অনুযায়ী একই এলাকার সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সালাউদ্দীন আহম্মদের পিতার পুরনো বাড়ী ও চাচা আকবর সরদারের বর্তমান বাড়ী থেকে ভগ্নিপতিকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ১৬ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। আটক দুজন হলেন ৫নং কয়রা গ্রামের মৃত্যু মেছের গাজীর ছেলে রাজু হোসেন (৩৫) এবং দেয়াড়া গ্রামের আব্দুল হালিম ফকিরের ছেলে মো: রোকনুজ্জামান (২৩)। সে স্থানীয় মসজিদে ঈমামি করেন বলে জানান স্থানীয়রা। আটক রাজু হোসেন কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো: সালাউদ্দীন আহম্মদের ভগ্নিপতি বলে জানা গেছে।
পুলিশ, আসামী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সালাউদ্দিনকে সভাপতি পদের জন্য খুলনা শহরের নেতাদের সুপারিশের জন্য হরিণের মাংস অবৈধভাবে বহন করে খুলনায় আনা হচ্ছিল।
এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও আগামী ছাত্রলীগ কমিটিতে সভাপতি প্রার্থী সালাউদ্দিন আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনা আমি জানি না। রাজু আমার আপন ভগ্নিপতি না। এমনকি আমি আমার পুরোনো বাড়ি অনেক দিন যাই না। ওখানে থাকিও না। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসাতে আমার প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্রে করে আমার রাজনীতিক সুনাম নষ্ট করছে।
কাশিয়াবাদ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিণের ১৬ কেজি মাংস সহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা স্কুল ব্যাগে খুলনার উদ্দ্যেশে নিয়ে যাচ্ছিল। বন্যপ্রাণী নিধন আইন অনুযায়ী মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, আটক রাজু ছাত্রলীগ এক নেতার চাচার মেয়ের জামাই। এর সাথে আর কারা জড়িত আছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)