বনানী থানার পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা বরখাস্ত
ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাশুকুর রহমানসহ তিনজন কারাগারে। এজাহারভুক্ত বীথি আক্তারসহ দুজন পলাতক রয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান।
সোহেল রানাকে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা।
উপকমিশনার আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, ভারতে অনুপ্রবেশের পর আটকের খবর সে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ছাড়াও নিজ কর্মস্থলে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলাও হয়েছে। সেটি তদন্ত করা হবে।
পণ্যের নগদ টাকা পরিশোধের পরেও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত আগস্টে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ভুক্তভোগী ২৯ জন গ্রাহকের পক্ষ ওই মামলা করেন।
এদিকে গ্রাহকদের ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সোহেল রানাসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, নাজনিন নাহার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)