মামলাবাজ সাবেক স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে শিক্ষিকার সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক স্বামীর দেওয়া মিথ্যা মামলার হাত রক্ষা পেতে এক কলেজ শিক্ষিকা সংবাদ সম্মেলন করেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, কলারোয়া শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতিমা নার্গীস।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, সাবেক স্বামী একই কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক মফিজুর রহমান। তিনি কলারোয়া উপজেলার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইছাক সরদারের পুত্র। তার লম্পট্য, পরসম্পদলোভী স্বভাবের কারনে শারিরীক, মানুষিক নির্যাতন এবং আর্থিক অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২২ তারিখে আদালতের মাধ্যমে তালাক প্রদান করেছি। মফিজুর রহমান সুদখোর হিসেবেও এলাকায় পরিচিত। নিয়মিত কলেজ ফাঁকি দিয়ে ইচ্ছামত ঘুরে বেড়ায়। আমার মাতা একজন অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। মফিজুর রহমানকে তালাক দেওয়ার পর আমার মায়ের সম্পত্তির লোভে কৌশলে মফিজুর রহমান আমার মাতাকে নিজের বাড়িতে আটকে রেখেছে। তালাক দেওয়ার পর আমাকে জিম্মি করে চেকে স্বাক্ষর করিয়ে তার ডিজঅপনার করিয়ে এপর্যন্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। ওইসব মামলায় তার ভাই, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর লোকজন সহযোগিতা করে যাচ্ছে। চেকের মিথ্যা মামলা গুলো হচ্ছে সিআর- ২৮৯/২২, সিআর ২৮৮/২২, সিআর-১৬২৫/২২, সিআর-১৪৯৭/২২ এবং সিআর ১৪৪৩/২২।
মফিজুর রহমান ছাত্রজীবনে কলারোয়ার একটি বাড়িতে লজিং থাকতো। অসৎ উদ্দেশ্যে ওই বাড়ির ছাত্রীকে জোরপূর্বক জাপটে ধরলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মফিজুর রহমানকে গাছের সাথে বেধে রাখে। পরে তার মেঝ ভাই আতিয়ার রহমান, ন ভাই আনিসুর রহমান ও ছোট ভাই ডা: শহিদুর রহমান তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে সাতক্ষীরাতে রেখে যান। আমার দুটি কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় কন্যা (১৮) কে ২৯/০৭/২১ তারিখে বিবাহ প্রদান করি এবং ছোট কন্যা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। মফিজুর রহমান আমার মেয়ের জামাতা, মেয়ের শ^শুর এবং আমার বিরুদ্ধে আদালতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনে সিআর-১৭/২২ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ২২২/২২ নং মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে।
এছাড়া বিবাহ জালিয়াতি মামলা ননজিআর ১০২/২২(কলারোয়া) এবং ২১৯/২২(সাতক্ষীরা) দুটি মামলা দায়ের করে এবং আরো দুটি জমিজমা সংক্রান্ত মামলা দায়েরসহ মোট ১২টি মিথ্যা মামলা আমার বিরুদ্ধে দায়ের করে আমার মত এক কলেজ শিক্ষিকাকে দিশেহারা করে তুলেছে ওই মামলাবাজ মফিজুর রহমান। একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হওয়া ৭৫টি মামলার বাদী মফিজুর রহমান। তার নিজের ভায়ের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দায়ের করেছে। তারমধ্যে ৪টি চলমান রয়েছে। মামলা গুলো হচ্ছে- সিআর-১৯৩/২১, সিআর- ৩১৭/২০, সিআর-২৮৭/২০ এবং ০৪/২১।
এছাড়াও গতকাল আমার বিরুদ্ধে থানায় আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে মামলাবাজ মফিজুর রহমান আমার মেয়ের জামাতাসহ আমাদের প্রাণনাশের হুমকি ধামকি প্রদশণ করে যাচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তিকে ব্যবহার করে হয়রানি করে যাচ্ছে।
একদিকে আমার বৃদ্ধা মাকে আটকিয়ে রেখেছে অন্যদিকে আমাকেসহ আমার কন্যা এবং তার পরিবারের সদস্যদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ওই মফিজুর রহমানের কবল থেকে আমার মাতাকে উদ্ধার, সকল মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যহিত পাওয়াসহ নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)