সোমবার, জুন ২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মালঞ্চ নদী উপকূলে তরুণদের ব্যাতিক্রমী নদীবন্ধনে জলবায়ু সুবিচারের দাবি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার সুন্দরবনের মালঞ্চ নদী উপকূলের তরুণদের ব্যাতিক্রমী নদী বন্ধনে বিশ^নেতাদের কাছে ও উন্নত বিশে^র সব মানুষের কাছে জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়েছে উপকূলের দূর্যোগ ভুক্তভোগী তরুণরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪) দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী ওয়াপদা বেড়িঁবাধের ভাঙনকূলে উপকূলীয় অঞ্চলের অর্ধশতাধিক যুব এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী এ নদীবন্ধনে অংশ নেন। বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ) এর সহায়তায়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বনজীবি ইয়ুথ টিম ও উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি আয়োজিত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জলবায়ু সুবিচারের দাবীতে বৈশি^ক জলবায়ু ধর্মঘটের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আয়োজিত এ নদীবন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বনজীবী ইয়ুথ টিম’র সভাপতি মো. শামীম হোসেন।
বেঁচে থাকার অধিকার, চাই জলবায়ু সুবিচার’, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করো, ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ চাই, ‘ক্ষতিকারক কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাসহ এমন ধরনের নানা স্লোগান এবং নিজেদের তৈরীকৃত ব্যানার, প্লেকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নদীর পাড়ে নদীবন্ধন করেন শ্যামনগরের যুবরা।
বারসিক’র যুব আন্দোলনের সংগঠক স.ম. ওসমান গনী সোহাগ এর সঞ্চালনায় নৌবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সবুজ সংহতির শেফালী বিবি, এসএসএসটি’র আহ্বায়ক প্রকাশ মন্ডল, যুব স্বেচ্ছাসেবক আব্দুর রহমান, আল-মামুন, মোঃ তাওহিদ হোসেন, জুলেখা আক্তার, তানিয়া পারভীন, শরিফা খাতুন, নাছরিন আক্তার প্রমুখ।
বনজীবী শেফালী বিবি তার বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে আমরা যারা বনে যাই তারা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ি। বিগত বছরের তুলনায় এবছর মধু কম হয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকাল না হলেও অতিবৃষ্টি হয়, যেকোন সময় ঝড় হয় তখন বন বিভাগ থেকে পাশ দেয়না, আমরা মাছ-কাঁকড়া ধরতে যেতে পারি না। আমাদের লোনা পানিতে নেমে নদীতে জাল টানতে হয়। মহিলাদের অনকে শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়। বেড়িঁবাধ গুলোর করুণ অবস্থা। আমাদের সরকার যদি এখনই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
স্থানীয় সমাজকর্মী মোঃ বুলবুল হৃদয় জানান, জীবাশ্ম জ্বালানি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এবং দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কল-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন খাতে প্রতিনিয়ত যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হয়, তার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের সম্পদশালী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। তাদের পুঁজিবাদী মনোভাবের কারণেই পৃথিবী আজ ধ্বংসের মুখে।
এসময় পরিবেশের জন্য হুমকি প্রকল্পগুলো সম্বন্ধে বনজীবী ইয়ুথ টিম’র সভাপতি মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য জলবায়ু ও জ্বালানি সুরক্ষিত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই।’ সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলির কাছে অবিলম্বে জীবাশ্ম-তহবিল বন্ধ করাসহ জলবায়ু সংকটের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলোর জন্য জলবায়ু ক্ষতিপূরণের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ না করে টেকসই প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য সরকার ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান তিনি।

স্থানীয় বারসিককর্মী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বৈশ্বয়িক পরিবর্তন ঘটছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর লাগামহীন কার্বন নিঃসরণ ও ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার, আমাদের মতো নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে দিন দিন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিণত করছে। সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট এর সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজকের এ নদীবন্ধন। আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ জায়গা থেকে জলবায়ু সুবিচার চাইতে হবে। নতুবা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। আসুন আমরা ফসিল ফুয়েলের নানাবিধ ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সকল প্রাণের জন্য একটি বাসযোগ্য সবুজ পৃথিবী বিনির্মাণ করি।

নদীবন্ধনে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু-সংবেদনশীল দেশগুলোকে এখনই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সর্বনাশা সব প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে, এ দিকে দৃষ্টি রেখে যুব স্বেচ্ছাসেবক ও জলবায়ুকর্মীরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও বেশি, আরও উচ্চাকাঙ্খী জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেয়। তারা বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের বড় অংশীদার ধনী দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু তহবিলে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি যত দ্রুত সম্ভব পূরণের তাগাদা দেয়; তবে এই অর্থায়নের নামে ‘গ্লোবাল সাউথের’ দেশগুলোর ওপর যেন ঋণ চাপিয়ে দেওয়া না হয় তা নিয়েও সতর্ক করেছে তারা। এমন অর্থায়ন বিপদে থাকা দেশগুলোর ঋণের বোঝা আরও বাড়িয়ে তুলবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই সরকারের প্রধান অঙ্গীকার: বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, তাদেরবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় বাজেট ঘোষণা

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অনিশ্চয়তায় এবং প্রশাসনিক স্থবিরতায়বিস্তারিত পড়ুন

দাম কমতে পারে যেসব পণ্য-সেবার

নতুন অর্থবছরে শুল্কের হারে পরিবর্তন আসায় প্রতিবারের মত এবারও বিভিন্ন পণ্য ওবিস্তারিত পড়ুন

  • দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্য-সেবার
  • ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ভাতা নিচ্ছে ২৪০০ কোটি টাকা
  • ৫০০, ২০০, ১০০ ও ১০, ৫ ও ২ টাকার নোটের নকশায় কী থাকছে
  • স্বাধীনতার পর থেকে কোন বাজেট কত টাকার
  • কমছে চিনি-সয়াবিন তেলের দাম
  • বাজেটে স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের জন্য সুখবর
  • পরিবর্তন হচ্ছে না তাজউদ্দীন আহমদ কলেজের নাম
  • সীমান্ত রক্ষায় ছাড় দেবে না বিজিবি : ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হুমায়ূন কবীর
  • চীনা ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধান উপদেষ্টার
  • জাপান যাবে ১ লাখের মতো কর্মী, বাড়বে বিনিয়োগ: প্রেস সচিব
  • মাতারবাড়ি প্রজেক্টে বড় বিনিয়োগ করবে জাপান : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
  • মে মাসে ছড়ানো ৩৫১ ভুল তথ্য শনাক্ত