‘মিন্নি ছিল নাটের গুরু’


বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, শুরু থেকেই জানতাম, রিফাত হত্যায় মিন্নি ছিল নাটের গুরু। এই মিন্নির ষড়যন্ত্রেই আমার ছেলের প্রাণ গেছে।
বুধবার বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির নির্দেশ দেন আদালত। বাকি চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর বরগুনা জেলা জজ আদালত চত্বরে নিহত রিফাতের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ বলেন, আমরা প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিলাম। মিন্নি ছিল নাটের গুরু। কিন্তু কে বিশ্বাস করবে তখন আমাদের কথা। আদালতের এই রায়ে আজ তা দিনের আলোর মতো স্পট হয়ে গেল। এই মিন্নির ষড়যন্ত্রে আমার ছেলে রিফাতের প্রাণ গেছে।
দুলাল শরিফ বলেন, আমার ছেলের হত্যা মামলার রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমরা প্রথম থেকেই জানতাম মিন্নি ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূলে। তার ষড়যন্ত্রে পরিকল্পনায় আমার ছেলেকে হত্যা করেছে নয়ন বন্ডসহ অন্যরা। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি।
আদালতের রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৪), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২০), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৩), মো. হাসান (২০) ও নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (২০)। আসামিদের মধ্যে মো. মুসা পলাতক আছেন। মুসা ছাড়া অন্য আসামিদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও মামলার অপর চার আসামি রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২১), মো. সাগর (২০), মো. মুসা (২৩) ও কামরুল ইসলাম সাইমুনকে (২২) খালাস দেয়া হয়েছে।
রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড (২৫) কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে চার্জশিটেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি পৃথক চার্জশিট দেয় পুলিশ।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
