সাতক্ষীরায় খুলনা রোড মোড়ে জেলা ভুমিহীন সমিতির প্রতিবাদ সভা
সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫ টায় সাতক্ষীরার শহরের খুলনা রোড চার রাস্তার মোড়স্থ বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খননে অনিয়মের প্রতিবাদসহ টিআরএম চালু বাস্তবায়ন এবং নদীর টেকসই বেড়ীবাধ নির্মান ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালের জনবল বৃদ্ধি করন ও প্রকৃত ভুমিহীনদের পুনঃবাসনের দাবিতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলি।
জেলা ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজীর সঞ্চলনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী শেখ ফারুক হোসেন, জেলা ভুমিহীন সমিতির নেতা শেখ শওকত হোসেন, সেলিম হোসেন, আল হেলাল, শেখ হাফিজুর রহমান, মীর আশিক ইকবাল (বাপ্পী), মোঃ হাই মোল্লা, সালাম, হাসান, শেখ রিয়াজুল ইসলাম, ভুমিহীন নেত্রী নাজমা খাতুন , শাহানারা খাতুন রিনা সাহিদা আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরাবাসির জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃক নদী ও খাল খননে ৪৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু এখানকার ঠিকাদাররা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুনীতিবাজ কর্তৃকপক্ষদের যোগসাজে নদী খননে নামে সাতক্ষীরা মানুষের চোখে ধুলা দিয়ে নদী গভীরতা না করে বেড়িবাঁধ উচু করে নদী খননে কাজ যেনতেন করে দায়সারের চেষ্টা করছেন তারা। তাই অবিলম্বে বেতনা মরিচচাপ খননের জন্য বাজেট সঠিকভাবে খননের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কিন না তার জন্য সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং কার্যক্রম সমন্বয় ও গতিশীল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বয়ে একটি ফোরাম গঠন করতে হবে। যে কোন ধরনের বিপর্যয় এড়ানোর জন্য নির্ধারিত সময়ে বেতনা, মরিচচাপ খনন ও পার্শ্ব খালের সাথে সংযোগ টি আর এম, বাস্তবায়ন টেকসই বেড়িবাঁধ অসহায় ভূমিহীনদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। মজুমদার খালের কুচুরিপনা ও ময়লা আবর্জনা ভরে গেছে। দ্রুত মুজুমদার খাল খনন বাস্তবায়ন করতে হবে।
নদীর গভীরতা সহ বেড়িবাঁধ টেকসই করতে হবে। টি আর এম বাস্তবায়ন না হলে সরকার বেতনা ও মরিচচাপ খনন করার পর কোন আশার আলোর মুখ দেখবে না। অববাহিকার মানুষ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। পাখিমারা বিলের জমিতে যে টিআরএম চালু করা হয়েছে। সেই সব জমির মালিকদের নায্যমুল্য ক্ষতিপুরন করতে হবে।
বক্তরা আরো বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালের জনবল বৃদ্ধি করতে হবে। অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল সহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে। সরকারি ডাক্তারা সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত সময় দেয় না। তারা বেশিভাগ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই অবিলম্বে সরকারি ডাক্তারদের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের রোগী দেখা বন্ধ করতে হবে। খুলনা রোড মোড়ে ফুতপাতে বসে থাকা সাধারন গরীব ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালিয়ে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ সংসার চালাতে হয়। মহাসড়ক করার নামে খুলনা রোড মোড়ে গরীবদের ফুতপাত দোকান উচ্ছেদ করা বন্ধ করতে হবে। ভুমিদৃশ্যদের দখলকৃত সরকারি খাস জায়গা গুলো উচ্ছেদ করতে হবে। আশ্রয় প্রকল্প আওতায় মুজিববর্ষ গৃহহীন ঘর প্রকৃত ভুমিহীনদেরকে
পুনঃবাসন করতে হবে। এসব বাস্তবায়ন না হলে আগামী দিনে সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতি ও নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির যৌথ উদ্যােগে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে বক্তারা প্রতিবাদ সভায় ব্যক্ত করেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এসব বাস্তবায়নসহ ভুমিদৃশ্য ও দুনীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানান প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত সাতক্ষীরা সাধারণ মানুষ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)