হাবিল-ই কলারোয়ার কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত
এসএম আফজাল হোসেন হাবিল-ই কলারোয়ার কেঁড়াগাছি ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পরপর দুই মেয়াদে তিনি এ পদে আসীন হলেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ হোসেনকে ৩২৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিল।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) কেঁড়াগাছি ইউপি নির্বাচনের স্থগিত ১নং ওয়ার্ডের (কেঁড়াগাছি গ্রাম) পুন:ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাময়িক বহিষ্কার হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল আনারস প্রতীকে ৫৫২ ভোট পেয়েছেন। আর এর আগে ওই ইউনিয়নের অপর ৮টি ওয়ার্ডে তিনি পেয়েছিলেন ৪৬৯৩ ভোট। ফলে তিনি সর্বমোট ভোট পেয়েছেন ৫২৪৫।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাময়িক বহিষ্কার হওয়া সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে কেঁড়াগাছি ওয়ার্ডে পেয়েছেন ১১৬১ ভোট। আর এর আগে ওই ইউনিয়নের অপর ৮টি ওয়ার্ডে তিনি পেয়েছিলেন ৩৭৫৯ ভোট। ফলে তিনি সর্বমোট ভোট পেয়েছেন ৪৯২০।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ভুট্টোলাল গাইন পেয়েছেন ৭ ভোট। আর এর আগে ওই ইউনিয়নের অপর ৮টি ওয়ার্ডে তিনি পেয়েছিলেন ৩৭৫৯ ভোট। সর্বমোট পেয়েছেন ৩৭৬৬ ভোট।
যদিও তার ভোটের ব্যবধান বেশি থাকায় কেঁড়াগাছি ওয়ার্ডে তিনি আগেই নির্বাচন থেকে দৃশ্যত সরে দাঁড়িয়ে মারুফ হোসেনকে সমর্থন করেন বলে জানা যায়।
সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বার পদে ফুটবল প্রতীকে ৮৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মনসুর আলী বিশ্বাস। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তৌহিদুজ্জামান মোরগ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৮৮ ভোট।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার পদে ছাবিলা খাতুন মাইক প্রতীকে ২৫১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কেঁড়াগাছি ওয়ার্ডে তিনি পেয়েছেন ৬০৭ ভোট। আর এর আগে ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডে ভোট পেয়েছিলেন ১৯০৯।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আকলিমা খাতুন বক প্রতীকে পেয়েছেন ১৬৮৭ ভোট। কেঁড়াগাছি ওয়ার্ডে তিনি পেয়েছেন ৯৮৮ ভোট। আর এর আগে ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডে ভোট পেয়েছিলেন ৬৯৯।
অপর প্রার্থী মাহফুজা খাতুন কলম প্রতীকে কেঁড়াগাছি ওয়ার্ডে ২৩ এবং এর আগে ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডে ২৪৬ সহ মোট ভোট পেয়েছেন ২৬৯।
আরেক প্রার্থী রুবিনা খাতুন হেলিকাপ্টার প্রতীকে কেঁড়াগাছি ওয়ার্ডে ২ এবং এর আগে ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডে ১১২ সহ মোট ভোট পেয়েছেন ১১৪।
কেঁড়াগাছি উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ-নিরপেক্ষ ভাবে ভোট গ্রহণ হয়। সকাল থেকেই নারী-পুরুষ ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট প্রদান করেন।
অনেকদিন পর নিজের ভোট নিজে দিতে পেরে বেশ খুশি বলে জানান বহু ভোটার। তারা জানান, আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি ছিল শান্তিপূর্ণ। কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই তারা ভোট দিতে পেরেছেন।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ইমরান হোসেন। ভোটগ্রহণের বুথ ছিলো ৫টি। কেন্দ্রে মোট ভোটার ২১১১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার-১০৭০ ও মহিলা ভোটার-১০৪১ জন। ১৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কেন্দ্রটিতে র্যাব, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণের সময় কেন্দ্রে সহিংসতা করে নৌকা প্রতিকের ব্যালট পেপারে রাত্রে জোরপূর্বক সিল মারার ঘটনায় কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)