২৮ বছর পর ২৪ ফুট লম্বা নখ কাটলেন আয়ান্না!
২০১৭ সালে বিশ্বের দীর্ঘতম নখের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের হাউসটনের আয়ান্না উইলিয়ামস প্রায় তিন দশক ধরে হাতের নখ বড় করছিলেন।
গত রোববার (৪ এপ্রিল) তিনি তার সেই শখের নখ কেটে ফেলেছেন। তিনি দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২৪ ফুট লম্বা নখ কাটলেন।
বিশ্ব রেকর্ড গড়লেও নখ বড় করা নিয়ে আয়ান্নাকে জীবনে ঝক্কি কম পোহাতে হয়নি। বড় নখের কারণে আর সবার মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারতেন না তিনি। তাই এবার একেবারে নতুন জীবনের লক্ষ্য থেকেই কেটে ফেলেছেন সাধের নখগুলো।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ২০১৭ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়ার সময় আয়ান্নার আঙুলের নখ ছিল ১৯ ফুট লম্বা। এই নখ রাঙাতে তার দুই বোতল নেইল পলিশ লাগত। এ ছাড়া নখের প্রসাধনে (ম্যানিকিওর) দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগত। রেকর্ডধারী ওই নখ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে এ সপ্তাহে কাটার আগে আরেকবার মাপেন তিনি। এ সময় নখের দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ২৪ ফুটের বেশি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, নব্বইয়ের দশকের পর থেকে কোনো রেকর্ডধারীর নখ কেটে ফেলার ঘটনা এটিই প্রথম। রেকর্ডধারী নখগুলোকে বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আয়ান্না। আয়ান্না বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে আমার নখগুলো বড় করেছি। আমি নতুন জীবনে যাওয়ার জন্য রীতিমতো প্রস্তুত। আমি জানি, আমি নখগুলোকে ভুলতে পারব না। কিন্তু এখন সময়টাকে দেখতে হবে। এখন নখগুলোকে বিদায় দেওয়ার সময়।’
২৮ বছর ধরে নখগুলো বড় করেন আয়ান্না। দৃষ্টিকাড়া ওই নখগুলো বড় করতে গিয়ে তাকে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তার দৈনন্দিন কাজে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। থালাবাসন ধোয়া, বিছানা পরিবর্তনের মতো সাধারণ কাজগুলোও তার নখের কারণে তিনি করতে পারেননি।
আয়ান্না বলেন, ‘আমার নড়াচড়ার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হতো। আমাকে সব সময় পরের ধাপগুলোর কথা মাথায় রাখতে হতো, যাতে আমি আহত না হই বা নখগুলো ভেঙে না যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার নখগুলো কেটে ফেলার বিষয়ে আমি রোমাঞ্চিত। কারণ, আমি সামনে নতুন করে সবকিছু শুরু করতে যাচ্ছি। নখগুলোসহ বা নখ ছাড়া আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী রানিই থাকব। আমার নখগুলো আমাকে তৈরি করেনি। আমিই নখগুলোকে বড় করেছিলাম।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)