১৯তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভায় বক্তারা :
আবদুল মোতালেব অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল দৃষ্টান্ত ॥ শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান চিরস্মরণীয়
মরহুম আবদুল মোতালেব ক্ষণজম্মা পুরুষ, আবদুল মোতালেব যুগে যুগে একজনই আসে। মোতালেব সাহেবের শুন্যস্থান কখনও পূরণ হওয়ার নয়। প্রয়াত এই সাংবাদিক ও সমাজসেবক তার কর্মের মধ্য দিয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন। তার আদর্শ ও চলার পথ অনুসরন করে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। সাতক্ষীরার প্রতিটি ঘরে ঘরে একজন করে মোতালেব তৈরী করতে পারলে আমরা আদর্শ সাতক্ষীরা গড়তে পাড়বো। সাতক্ষীরার শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নারী শিক্ষায়ও তার অবদান অনন্য। চার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিনির্মান করে তিনি দেশখ্যাতি শিক্ষাবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
বুধবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে আয়োজিত মরহুম আবদুল মোতালেব এর ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, আবদুল মোতালেব একাধারে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি, সাতক্ষীরার প্রথম দৈনিক কাফেলার সম্পাদক এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ অবজারভার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট ম্যানেজিং কমিটির বোর্ড মেম্বর, বাংলাদেশ স্কাউট এর ভাইস প্রেসিডেন্টসহ অগনিত সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি হিসেবে আবদুল মোতালেব নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। জেলা ও জেলার বাইরেও তিনি নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন অগনিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন সাতক্ষীরার সাংবাদিকতার সুতিকাগার।
সাতক্ষীরার কোনো সাংবাদিক তার সহযোগিতা ছাড়া নিজেদের পরিচিতি বাড়াতে পারেননি। তিনি ছিলেন সাতক্ষীরার উন্নয়নের রূপকার। আবদুল মোতালেব ছিলেন একজন পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান সমাজসেবক। সমাজের এমন কোনো দিক নেই যেদিকে তিনি হাত দেননি। আর তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানেই তিনি ফলিয়েছেন সোনার ফসল। তিনি ছিলেন সমাজের নিপীড়িত মানুষের বন্ধু। দুর্যোগপ্রবণ জেলা সাতক্ষীরায় ঝড় বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস হলেই আবদুল মোতালেব তার ত্রাণ বহর নিয়ে ছুটতেন সেখানে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের খাবার, বস্ত্র, ওষুধ ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতেন। তার দৃষ্টান্ত তিনি নিজেই। বক্তারা আরও বলেন, মোতালেব সাতক্ষীরার মানুষের কাছে একটি প্রিয় নাম। তার কর্মের ব্যাপ্তি ছিল দেশজুড়ে।
তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন হৃদয় দিয়ে। তার ভালবাসায় আমরা সবাই সিক্ত। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, সাবেক ফিফা রেফারী ও ক্রীড়া সংগঠক তৈয়ব হাসান বাবু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, আমেরিকা প্রবাসি সাংবাদিক তুহিন সানজিদ, ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার এড দিলীপ কুমার দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, সাপ্তাহিক মুক্তস্বাধীন পত্রিকার সম্পাদক মো: আবুল কালাম, দৈনিক মানবকণ্ঠর অসীম বরণ চক্রবর্তী, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রিসের আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাংবাদিক এড শফিউল ইসলাম খান।
এর আগে মরহুম আবদুল মোতালেব এর রসুলপুরস্থ সরকারি কবরস্থানে মাজার জিয়ারত করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। সেখানে তার কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করে তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। এসম মোনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক হাফেজ কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন, সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)