কলারোয়ায় নৌকার প্রথম নির্বাচনী জনসভা, স্বপনের পাশে অভিমানী নেতারাও
কলারোয়া প্রতিনিধি: ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’- এ কথা বারবার প্রতিয়মান হচ্ছে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের ক্ষেত্রে। ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) একসাথে এক মঞ্চে হাতে হাত মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ হলেন স্থানীয় আভ্যন্তরীণ আ.লীগ দলীয় রাজনীতিতে তার বিপক্ষে থাকা অভিমানী নেতারাও। ফলে একই সুতোয় ফুলের মালায় গাঁথা পড়লেন নেতারা।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কাজিরহাট হাইস্কুল মাঠে সাতক্ষীর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের প্রথম নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভার ওই মঞ্চে সকল ভেদাভেদ ভুলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের পাশে এক কাতারে দাঁড়ালেন উপজেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ কালাম, যুগিখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুগিখালী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, যুবলীগ নেতা মফিজুল ইসলাম লাভলু, সঞ্জয় সাহাসহ বেশ কয়েকজন নেতা। তারা সবাই কলারোয়ার আ.লীগ রাজনীতিতে স্বপন বিরোধী ও বর্তমান সাংসদ মুস্তফা লুৎফুল্লাহের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে দুপুরে পৌরসদরের তুলশীডাঙ্গাস্থ বাড়িতে নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের সাথে হাত হাত মিলিয়ে একসাথে হন তারা।
কাজীরহাটের জনসভায় নৌকা প্রতীকের সমর্থনে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মাঠজুড়ে বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের ঢল নামে।
সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামও নৌকার সমর্থনে বক্তব্য দেন।
নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন জনসভায় জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী ও দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির জন্য উপস্থিত জনতার মূল্যবান ভোট নৌকায় প্রদানের আহবান জানান।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম।
আ.লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে নৌকার সমর্থনে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের সহ.সভাপতি শেখ আবু সাঈদ, দপ্তর সম্পাদক হারুনর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক জিএম ফাত্তাহ, নির্বাহী সদস্য নাজনীন নাহার মুন্নি, জেলা পরিষদ সদস্য মাহফুজা সুলতানা রুবি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু, তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও তালা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার, তালা উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক মীর জাকির হোসেন, তালার মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গণেশ দেবনাথ, সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফার হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, কলারোয়া পৌরসভার মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন, কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ কালাম, দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফে, যুগিখালি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল, সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল, জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান, কয়লা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন, কুশোডাঙ্গার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম, লাঙ্গলঝাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, চন্দনপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি গাজী রবিউল ইসলাম, চন্দনপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সোনাবাড়িয়ার সাবেক চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আশিকুজ্জামান মুন্না, সোহাগ, তালা উপজেলা আ.লীগ নেতা মশিউর রহমান, খোরশেদ আলম, মহাসীন আলী, মোসলেম আলী প্রমুখ।
জনসভা সঞ্চালন করেন কেরালকাতা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মাস্টার হাফিজুর রহমান, কলারোয়া যুবলীগ নেতা শহীদ আলী ও শেখ মাসুমুজ্জামান মাসুম।
এদিকে, কলারোয়ার পক্ষে-বিপক্ষের অনেক নেতা নৌকার জনসভায় একই মঞ্চে একত্রিত হওয়ায় ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিজয় অনেকটা সহজ হবে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
তারা বলছেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে দাঁড়ানো এবং নিজের আনন্দ অন্যের মধ্যেও বিলিয়ে দেয়ার যে শিক্ষা- এই নির্বাচন দিয়ে সবার মধ্যে তা সঞ্চারিত হবে। সবার মধ্যে ফিরে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি। ছড়িয়ে পড়ুক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)