শনিবার, অক্টোবর ১১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ায় জলাবদ্ধ জমিতে ‘পানি সিংড়া’র বাম্পার ফলন

মোস্তফা হোসেন বাবলু: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বেশ কিছু জলাবদ্ধ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৩২ হেক্টর জমিতে পানি ফলের চাষ হয়েছে। আর এর বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে। স্থানীয়দের কাছে এই ফল ‘পানি সিংড়া’ নামে পরিচিত। পানি ফল বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।

কলারোয়া পৌর সদরের গোপিনাথপুর গ্রামের পানিফল চাষী আজিবার গাজী ও নাঈম হোসেন জানান, ২০০৮ সালে আজিবার নামে এক কৃষক পার্শ্ববর্তী উপজেলা কালিগঞ্জ থেকে বীজ এনে এই ফলের চাষ শুরু করেন। সেই থেকে বছর ১৪ ধরে কলারোয়ার পতিত ও জলাবদ্ধ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পানি ফল চাষ শুরু হয়েছে। কম খরচে অধিক লাভ ও পতিত জমি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় কলারোয়া উপজেলায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর চাষাবাদ।

স্থানীয়রা জানান, প্রথমে পানিফলের আবাদ শুরু হয় গোপিনাথপুর গ্রামের আকবর সরদারের জমিতে। এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, এমনকি বিভিন্ন গ্রামে। বর্তমানে উপজেলার গোপিনাথপুর, তেলকাড়া, গোয়ালচাতর, কুশোডাঙ্গা, মুরারিকাটি ও কেড়াগাছি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। বাংলা ভাদ্র মাস থেকে আশি^ন মাস পযন্ত চাষীরা পানিফলের আবাদ করেন। আর বেচাকেনা চলে বাংলা কার্তিক, অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত।

যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের কলারোয়া পৌরসদরের গোপিনাথপুর এলাকায় রাস্তার দু’ধারে দেখা মেলে পানি ফলের ক্ষেত। আর মহাসড়কের ধারেই পানিফল বেচতে বসে যান চাষীরা। পাওয়া যায় কলারোয়ার বাজার, বিভিন্ন মোড় ও ফুটপাতেও। বর্তমানে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়ও যাচ্ছে কলারোয়ায় উৎপাদিত পানিফল।

পতিত ও জলাবদ্ধ ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়- লতার মত গাছটির শেকড় নিচে থাকলেও পানির ওপরে ভেসে থাকে পাতাগুলো। অনেকটা কচুরিপানার মতো। ফলগুলোতে দুটি শিং-এর মত কাঁটা থাকে, তাই স্থানীয়দের কাছে এটি পানি সিংড়া নামে পরিচিত। ফলগুলো দেখতে সবুজ ও লাল হয়। খোসা ছাড়ালে বেরিয়ে আসে সাদা আশ, যা মিষ্টি সুস্বাদু।

পৌর সদরের আয়জুল ও লাভলু, তাহিদুর রহমান, নাঈম ,ওসমান গনিসহ কয়েকজন চাষী জানান, জলাবদ্ধ জমিতে পানিফলের চাষাবাদ করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে পানিফল আবাদে ১২-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়, আর ফল বিক্রি হয় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকার। এর চাষাবাদ বেশ লাভজনক।

তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতি কেজি পানিফল ৪০-৪৫ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হয়। আর খুচরা বিক্রয় হয় ৫৫ টাকা দরে। দেশের অন্যান্য জেলায় পানিফলের চাষাবাদ হয় না। তাই মানুষ কম চেনে।

সম্প্রতি কলারোয়া উপজেলা থেকে এই ফল যশোর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শুভ্রাংশ শেখর দাস বলেন, মৌসুমী ফল হলেও পানিফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এতে অনেক পতিত জমির ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থানও হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ার জয়নগরে বিএনপির মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নে বিএনপির উদ্যোগে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিতে শ্যামনগর

হাবিবুর রহমান রনি: কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউট ৮দলীয় নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টে ইয়ামিন স্পোটিংবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার স্বরুপজান বিবি নামের এক বৃদ্ধা সংবাদবিস্তারিত পড়ুন

  • ইসলামী বাংকের অবৈধ বিনিয়োগ ও নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
  • কলারোয়ায় কপাই ফুটবল টুর্নামেন্টে ধুলিহর সেমিফাইনালে উন্নীত
  • কলারোয়ায় সিংগা হাইস্কুলে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা
  • ছয় দফা দাবিতে কলারোয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলন অব্যাহত
  • কলারোয়াতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
  • কলারোয়ায় বিদ্যৎস্পৃষ্টে ওয়েলডিং মিস্ত্রির মর্মান্তিক মৃত্যু!
  • কলারোয়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
  • সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে ভারতীয় মদসহ ১০ লক্ষ টাকার মালামাল আটক
  • কলারোয়ায় সাদা পলিথিনের সেডে টমেটো চাষে সাফল্যের জোয়ার
  • কলারোয়ায় সাংবাদিক আরিফ মাহমুদের মায়ের মৃত্যুতে শোক
  • সাংবাদিক আরিফ মাহমুদের মায়ের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের শোক
  • কলারোয়ার সাংবাদিক আরিফ মাহমুদের মায়ের মৃত্যুতে কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের শোক