ঝাউডাঙ্গায় নজর কেঁড়েছে ‘কালো মানিক’
মৎস্য ঘেরের পাশাপাশি ২০১৫ সাল থেকে গবাদিপশু পালন করে সফলতা পেয়েছেন আব্দুল মান্নান নামের এক যুবক। প্রথমে ২টি গরু দিয়ে শুরু করলেও তার খামারে এখন ১০টি গরু। তার মধ্যে ১৮ মন ওজনের সব থেকে বড় গরুটির নাম কালো মানিক। গায়ের রং কালো বলে গরুটির নাম দেয়া হয়েছে কালো মানিক। এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ লক্ষ টাকায় ওই গরুটি বিক্রি করার প্রত্যাশা রয়েছে খামারী আব্দুল মান্নানের।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুত অফিস সংলগ্ন গোবিন্দকাটি খালের পাড় এলাকার মৃত আব্দুর রউফের ছেলে খামারী আব্দুল মান্নান। ধানের কুড়া, বিচুলিসহ খালের পাড়ে লাগানো নেপিয়া ঘাসসহ প্রাকৃতিক গোখাদ্য খাওয়ানোর পাশাপাশি কর্মচারি দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করেন গবাদিপশুদের। খামারে গরুর পাশাপাশি ১০টি সুস্বাস্থ্যবান ছাগল, হাস, মুরগী, কবুতর ও খরগোশ রয়েছে। তবে করোনার প্রাদূর্ভাবে খামারের গবাদিপশু বিক্রি করতে না পেরে তুলনামূলক লোকশান ও বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই খামারী।
খামারী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মাছের ব্যবসার সাথে ২০১৫ সাল থেকে গবাদিপশু পালনের কাজ শুরু করেন। প্রথম থেকে ভালো লাভ হওয়াতে বাড়তি সময় ও শ্রমিক দিয়ে খামার বড় করে বর্তমানে বিক্রি যোগ্য ১০টি গরু ও ১০টি ছাগল আছে। যার মধ্যে প্রায় ১৮ মন ওজনের সব থেকে বড় গরু ‘কালো মানিক’কে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হবে। গরুটির বুকের মাপ ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি ও লম্বা ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি। পরিচ্ছন্ন খামারে ৩জন কর্মচারী গবাদিপশু দেখাশোনা করেন।’
দৈনিক কালো মানিকের পিছনে প্রায় এক হাজার টাকা খরচ করেন তিনি।
খামারী আব্দুল মান্নান আরো বলেন, ‘কালো মানিক’কে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে মাধ্যমে সরকারি অনলাইন হাটে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছেন।’
কালো মানিককে দেখতে আসা কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘ফেসবুকে কালো মানিককে দেখে সরেজমিনে এসে দেখলাম। মনটা জুড়িয়ে গেলো।’
এলাকবাসী কে.এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচ্ছন্ন খামারে আব্দুল মান্নান কালো মানিককে অনেক পরিশ্রম করে বড় করেছেন।’
সাতক্ষীর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, ‘জেলা সদরের ৮ হাজার ৪৩৪টি গরু খামার রয়েছে। ২ হাজার ৩০৬টি গরু খামার ও ১ হাজার ৫০০ ছাগলের খামার। এবছর ঈদুল আজহাতে ৬ হাজার গরু ও ছাগল-ভেড়ার বিক্রির চাহিদা আছে ৪১১০টি। খামারীরা যাতে ন্যায্য মূল্য পেতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখে ছবি ও বিবরণ অনলাইনভুক্ত করে সাতক্ষীরা সদর অনলাইন গরু হাটের মাধ্যমে বিক্রি করে খামারীদের সহযোগীতা করা হচ্ছে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)