ডিমের দাম বেড়েছে, কমেছে পেঁয়াজের
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজ ও মমুরগীর দাম কিছুটা কমেছে। তবে বেড়েছে ডিমের দাম। আর বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, পূজার সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আসায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে বাজারে পেঁয়াজের অভাব নেই। দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজ পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। এ কারণে এখন পেঁয়াজের দাম কমছে। অস্বাভাবিক কিছু না হলে সামনে দাম আরও কমবে।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি এবং লাল লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির দাম কমার বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. শহিদুল বলেন, মাঝে বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কিছুটা কমে গিয়েছিল। এখন আবার বাড়ছে। এ কারণে দামও কমতে শুরু করেছে। আমাদের ধারণা সামনে ব্রয়লার মুরগির দাম আরও কমবে।
পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা ডজনের ডিম কিনতে এখন ক্রেতাকে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা গুনতে হচ্ছে।
হঠাৎ ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে হাজীপাড়া বৌ বাজারের ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতিবছর এ সময় ডিমের দাম বাড়ে। এবারও সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া মুরগির দাম বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এটাও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা আগের মতোই সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর ও টমেটো। মানভেদে এক কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এ দুই সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজিও। শীতের আগাম সবজি শিম গত সপ্তাহের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়শ, পটল, করলার দাম খুব একটা হেরফের হয়নি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে, বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
এছাড়া কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ৫ থেকে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আলম শেখ বলেন, সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে। শীতের কিছু আগাম সবজি বাজারে এসেছে। দিন দিন এগুলোর সরবরাহ বাড়ছে। তবে শীতের সবজি পুরোপুরি বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা কম।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)