পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ডাক বিভাগের কর্মচারী হারুর অর রশীদ বরখাস্ত
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপ ডাক বিভাগের আওতাধীন ভান্ডারিয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে কর্মরত হারুন অর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরিশাল পোস্ট অফিসের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোঃ মঞ্জুরুল আলম তাকে বরখাস্ত করেন।বিষয়টি ভান্ডারিয়া উপজেলা পোস্ট অফিসের ইন্সপেক্টর মোশারেফ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
হারুন অর রশীদ মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত এরফান ফকিরের পুত্র।তিনি ইমরান গাজী হত্যা মামলার ৪ নং আসামি।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর সবুজ নগর এলাকায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় হারুন অর রশীদ জড়িত বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়।হারুন অর রশীদের স্ত্রী ফাতিমা বেগম এ মামলার ১ নং আসামি এবং ফাতিমা বেগমের পরকিয়া প্রেমিক ইলিয়াস খলিফা এ মামলার ২ নং আসামি।
জানা গেছে, ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে ফাতিমা বেগমকে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় ডিসিস্ট ইমরান গাজী। বিষয়টি কাউকে না জানাতে তাকে অনুরোধ করেন তারা।তারপরও এটি জানাজানি হলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।ঘটনার দিন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে স্থানীয় আউয়াল শরীফের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ৩য় তলায় মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।তারা হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার চালায়।
থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ডিসিস্ট ইমরান গাজীর বড় ভাই আব্দুল্লাহ গাজী বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পিরোজপুরকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পিবিআই ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর মামলাটি গ্রহন করে।গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এরপর হারুন অর রশীদ সহ কতক আসামি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে গত ১৫ ফেব্রয়ারি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।হারুন অর রশীদ সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে ১৫ ফেব্রয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)