সাতক্ষীরায় ভারতীয় ভিসা অফিসের আশপাশে প্রতারক চক্র, কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা
সাতক্ষীরা শহরের ভারতীয় ভিসা অফিস এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে কয়েকটি প্রতারক চক্র। এ চক্রটির বিরুদ্ধে ভিসার জন্য কাগজপত্র জমা দিতে আসা লোকদের বোকা বানিয়ে, ধোঁকা দিয়ে মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভিসা অফিস এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সেবা প্রার্থীরা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ভারতীয় ভিসার আবেদনের জন্য অফিস সংলগ্ন আফিয়া এন্টারপ্রাইজে উপস্থিত হন মতিউর রহমান গাজী।
মতিউর রহমান গাজী বলেন, আমার এবং আমার ছেলে মনজুরুল ইসলামের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দোকানদারের কাছে জমা দিয়ে আবেদন করি। এসময় দোকান থেকে একজন লোক আমার মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে ভেতরে যেতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ভিসা অফিসে আবেদন জমা দিয়ে বাইরে এসে ফোন অন করে জানতে পারি, কেউ একজন আমার ছেলেকে ফোন করে বলেছে—আপনার আব্বা ভিসা জমা দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইঞ্জিন ভ্যানের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগেছে। আমরা ইঞ্জিন ভ্যান ও চালককে আটক করে আপনার আব্বাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেছি। মাথার সিটি স্ক্যানিং করানো হচ্ছে, আপনি এখনই বিকাশ করে দুই হাজার টাকা পাঠান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিউর রহমান গাজীর ছেলে মনজুর ইসলাম জানান, বাগেরহাটের মোংলাতে বসুন্ধরা কোম্পানিতে চাকরি করি আমি। হঠাৎ আমার কাছে ফোন করে আব্বার অ্যাক্সিডেন্টের কথা জানিয়ে টাকা চাইলে আমি ১৫ মিনিট সময় নেই। তার ভেতরে ইন্ডিয়া থেকে আমার বোন আমেনা খাতুন ফোন করে বলে আব্বার খোঁজ পেয়েছি, আব্বার কিছু হয়নি। ইতোমধ্যে আব্বার অ্যাক্সিডেন্টের কথা শুনে সবাই অনেক টেনশন করে। আমার ভাগ্নে আশিক প্রতাপনগর থেকে সাতক্ষীরায় রওনা দেয়।
আফিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মামুনুর রশীদ শাওন জানান, দোকানের কেউ এ ঘটনায় জড়িত না। এটা একটি প্রতারক চক্রের কাজ। বেশ কিছুদিন ধরে এ চক্রটি সাধারণ মানুষদের হয়রানি করছে।
ভিসা অফিস সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী পলাশ মন্ডল বলেন, তিন দিন আগে এক নারীর কাছ থেকে ২ হাজার ৬শ টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। এছাড়াও গত ৮-৯ দিন আগে আরেকজন নারীর কাছ থেকে প্রতারক চক্রটি ২ হাজার ১শ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
তিনি বলেন, ভিসা অফিস এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানার, এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)