সাতক্ষীরায় ৬ মাস ধরে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী! উৎকণ্ঠা ও হতাশায় পরিবার
৬ মাস ধরে নিখোঁজ সাতক্ষীরা সদরের শহীদ স্মৃতি কলেজের ডিগ্রী ছাত্রী শামিমা সুলতানা আখি। থানায় জিডিসহ বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজির পরও মেয়ে উদ্ধার না হওয়ায় চরম উৎকণ্ঠা ও হতাশা বিরাজ করছে ভূক্তভূগীর পরিবারে।
এরআগে গত ১৯ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের ভাদড়া এলাকা হতে তিনি নিখোঁজ হন।
শামিমা সুলতানা আখি(২২) সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের শারিরীক প্রতিবন্ধী আলমগীর হোসেনের মেয়ে।
ভিকটিমের মা রিজিয়া খাতুৃন বলেন, ‘নিখোঁজের ১৩ দিন আগে এমব্রয়ডারী কাজ করার কারণে আমি তাকে বকাবকি করি। বকাবকির ৫দিন পর সে ঢাকায় যাওয়ার জন্য সকালে সাতক্ষীরায় যায়। তবে বিকালে আবার সে ফিরে আসে। ওই ঘটনার ৮ দিন পর কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আমরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি। নিখোঁজের ১ দিন পর গত ২১ জানুয়ারী থানায় জিডি করেছি। যার নং ১২১৩। তারিখ ২১.০১.২৩। প্রথমে জিডিটির তদন্ত শুরু করেন এসআই শাহজালাল। তবে তিনি তালা থানায় বদলি হয়ে গেলে ওই দায়িত্ব পান এএসআই ইয়ার আলী। তবে আমার মেয়েকে উদ্ধারের তেমন কোন অগ্রগতি না হওয়ায় নতুন ওসি স্যার থানায় যোগদান করলে আমরা তার কাছে যায়। তখন তিনি শুনেবুঝে ওই জিডির দায়িত্ব দিয়েছেন এসআই হাসান স্যারের কাছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মেয়ের কোন খোঁজ এখনও পাইনি। আমার মেয়ে বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে তা আমরা জানিনা। ও যদি কারো সাথে চলেও যায় তবে আমরাতো জানবো সে কোথায় আছে! আমরা শুধু আমাদের মেয়ের সন্ধান চায়। আমরা আমাদের মেয়ের সন্ধানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করছি।’
কুশখালী ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মনজুরুল আলম বলেন, ‘মেয়ে নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজা হয়েছে। তবে তার কোন সন্ধান এখনও কেউ দিতে পারেনি। মেয়েকে না পেয়ে মেয়েটির মা ও প্রতিবন্ধী বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা অনেক হতাশ হয়ে গেছে। তার মা এক প্রকার খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।’
সাতক্ষীরা থানার এসআই হাসান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ওসি স্যার ওই মেয়েটির মায়ের করা জিডিটির তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। মেয়েটির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের একটা সিডিআর পেয়েছি। আর বাকি একটা সিডিআর বের করার চেষ্টা চলছে। ওসি স্যার দায়িত্ব দেওয়ার পর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে জিডিটির তদন্ত করা হচ্ছে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)