সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়


এবিএম কাইয়ুম রাজ, সাতক্ষীরা: ঈদুল আজহার ছুটিতে সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন এসব স্থানে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরার পর্যটন স্পটগুলো।
জেলার বিখ্যাত আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম, আব্দুর রাজ্জাক শিশু পার্ক, মোজাফফর গার্ডেন, উড়াল উড়াল মন ট্যুরিজম, কারামোরা ম্যানগ্রোভ ভিলেজ, লিমপিড গার্ডেন, ঐতিহাসিক বনবিবি তলা (বটগাছ), রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ কেন্দ্র, সীমান্তঘেঁষা ইছামতি নদীর তীরে টাকীর ঘাট, শ্যামনগর জমিদার বাড়ি, নলতা রওজা শরীফ, সোনাবাড়িয়া মঠ মন্দিরসহ নানা স্থানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় লেগে থাকছে।
অনেকেই পরিবার নিয়ে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল বা ছোট পিকআপে করে ঘুরতে আসছেন। তরুণদের একটি অংশ পিকআপে সাউন্ড সিস্টেম বসিয়ে গান বাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন। কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে স্মরণীয় মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছেন।
মোজাফফর গার্ডেনে ঘুরতে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, “ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে একটু স্বস্তি পেতে এখানে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে।”
সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশলীনায় ঘুরতে আসা ঢাকাবাসী সাহারা দম্পতি বলেন, “আমরা ঢাকায় থাকি, তবে ঈদে গ্রামের বাড়ি এসে সুন্দরবনের টানে এখানে চলে এসেছি। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে সময় কাটাতে ভালোই লাগছে।”
সাতক্ষীরার গ্রামাঞ্চল থেকেও অনেক শিশু-কিশোর ও তরুণ শহরমুখী হয়েছেন। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বেড়াতে আসা মানুষের ভিড় সামলাতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “জেলার অনেক মানুষ যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁরা ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে এলাকায় ফিরেছেন। অনেকে ঈদের দিন কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পরে বের হয়েছেন। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
সব মিলিয়ে, সাতক্ষীরার পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখন ঈদের আনন্দে ভাসছে। আগত কয়েক দিন এ ভিড় আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। পর্যটকদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা যেন উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
