সোমবার, জুন ৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

শেখ শাকিল হোসেন

বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের উত্থানে যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সেটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। বায়ান্ন ’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ঊননব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সবখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার জৌলুশ দেখিয়েছে। বলা হয়ে থাকে, এটি পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছে। অন্যায়-অবিচারের প্রশ্নে যে প্রতিষ্ঠানটি কোনদিন আপোষ করেনি, আজ সেই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।

বিগত ৯ দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে হাফিজুর রহমান তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যথারীতি থানায় অভিযোগও করা হয়।

নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় গতকাল (২৩ মে) হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ঈদের পরের দিন (১৫ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এতগুলো দিন তার লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টা বাদ দিলাম। হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেই বিতর্কও বাদ দিলাম। তবুও, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এ ঘটনার দায় কিভাবে এড়াতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই তার মৃতদেহ পাওয়া গেল। আর সেটা যে হাফিজুর রহমানের লাশ, এটা শনাক্ত করতে ৯ দিন চলে গেল! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদৌও এই ঘটনাটা জানতো? ওয়াকিবহাল থাকাটা প্রশাসনের দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া শিক্ষার্থীর লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে দিনের পর দিন মর্গে থাকছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। আমরা এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই না।

 

 

লেখক:
শেখ শাকিল হোসেন,
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সভাপতি, সাতক্ষীরা স্টুডেন্ট সোসাইটি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ঈদ পরবর্তী বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা : বিআরটিএ

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা : ঈদ পরবর্তী যাত্রা নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে ভিজিলেন্সবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

এবিএম কাইয়ুম রাজ, সাতক্ষীরা: ঈদুল আজহার ছুটিতে সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচেবিস্তারিত পড়ুন

ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নের লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট শুরু

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা: পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানবিস্তারিত পড়ুন

  • ঈদুল আযহা ত্যাগ-উৎসর্গের অঙ্গীকার ও পশুত্বের কোরবানি
  • ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় পেশাজীবী গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • সাতক্ষীরায় শহীদ জিয়ার শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ানুষ্ঠান
  • সাতক্ষীরায় ট্রেন লাইন বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
  • সাতক্ষীরায় নিরাপদ সড়ক চাই এর উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
  • কলারোয়া সীমান্তে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • ডা. কামরুন্নাহার শিউলিকে ইসলামী হাসপাতালের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা
  • সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স, ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণের সমাপনী
  • সাতক্ষীরা সদর ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা
  • সাতক্ষীরায় অত্যাচার-নির্যাতনের হাত থেকে গ্রামবাসীর রক্ষার দাবি
  • জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় সাতক্ষীরায় শুকরিয়া ও দোয়া
  • কলারোয়ায় টাস্কফোর্সের অভিযান: ৩২ লাখ টাকার কাঠ জব্দ, জরিমানা ২৫ হাজার টাকা