মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

শেখ শাকিল হোসেন

বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের উত্থানে যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সেটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। বায়ান্ন ’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ঊননব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সবখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার জৌলুশ দেখিয়েছে। বলা হয়ে থাকে, এটি পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছে। অন্যায়-অবিচারের প্রশ্নে যে প্রতিষ্ঠানটি কোনদিন আপোষ করেনি, আজ সেই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।

বিগত ৯ দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে হাফিজুর রহমান তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যথারীতি থানায় অভিযোগও করা হয়।

নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় গতকাল (২৩ মে) হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ঈদের পরের দিন (১৫ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এতগুলো দিন তার লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টা বাদ দিলাম। হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেই বিতর্কও বাদ দিলাম। তবুও, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এ ঘটনার দায় কিভাবে এড়াতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই তার মৃতদেহ পাওয়া গেল। আর সেটা যে হাফিজুর রহমানের লাশ, এটা শনাক্ত করতে ৯ দিন চলে গেল! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদৌও এই ঘটনাটা জানতো? ওয়াকিবহাল থাকাটা প্রশাসনের দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া শিক্ষার্থীর লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে দিনের পর দিন মর্গে থাকছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। আমরা এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই না।

 

 

লেখক:
শেখ শাকিল হোসেন,
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সভাপতি, সাতক্ষীরা স্টুডেন্ট সোসাইটি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেইবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: স্যানিটেশন মাস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বিত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের গৌরব, ঐতিহ্য সংগ্রাম ও সাফল্যেরবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ১১শ ২৯ পদ শূন্য
  • নতুন দায়িত্বে আব্দুর রহমান : দক্ষিণের মশালের বার্তা সম্পাদক
  • সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচনে ২৬টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, ভোট ১০ নভেম্বর
  • সাতক্ষীরায় সাদিক জনকল্যাণ সমিতির কোটি টাকার প্রতারণায় নিঃশ্ব ৩ শতাধিক গ্রাহক, উধাও এমডি
  • সাতক্ষীরার কুশাখালী ফুটবল টুর্নামেন্টে ঘোনা চ্যাম্পিয়ন
  • দেবহাটা রূপসী ম্যানগ্রোভ সড়কে কাজ পরিদর্শনে এলজিইডি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ
  • সুন্দরবনের পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতায় সাতক্ষীরার তিন সাংবাদিকের সম্মাননা অর্জন
  • সাতক্ষীরায় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র উদ্যোগে সার্ভিস ম্যাপিং কর্মশালা
  • ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর পাশে দাঁড়ালো সাতক্ষীরা বন্ধুসভা
  • সাতক্ষীরা জেলা তরুন দলের পরিচিতি সভা ও হুইলচেয়ার প্রদান
  • সাতক্ষীরায় জাতীয় কবিতা পরিষদের ‘কবি সম্মেলন’ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
  • সাতক্ষীরার নুনগোলায় মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ