করোনা যোদ্ধা এক অকুতোভয় সৈনিক বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান
করোনা মহামারি দুর্যোগ এর সময় মানুষ যখন দিশেহারা তখন বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে যোগদান করেন ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব। ঐ সময় ছিল বেনাপোল চেকপোষ্ট এক আতঙ্কের নাম। কারন এই পথে ভারত গমনাগমন করেন বাংলাদেশ ভারত সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ।
সরকারী চাকরীজীবি কর্মকর্তারা তখন ভয়ে আতঙ্কে তাদের কর্তব্য পালন করেন। ইমিগ্রেশন (ওসি) আহসান হাবিব অত্যান্ত দক্ষতার সাথে এই ইমিগ্রেশন এর সার্বিক তত্বাবধায়ন করেন এক যোদ্ধা হিসাবে। ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের গত ২০২০ এর মার্চ থেকে সতর্কতা পালনের দিক নির্দেশনা দেয় সরকার।
বাংলাদেশী যাত্রী যারা ওপারে আটকে ছিল তারা আসতে থাকে। এর মধ্যে অনেকে করোনা পজিটিভ নিয়ে দেশে ফিরে আসে। ওসি আহসান হাবিব সকল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের এবং আগত যাত্রীদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন।
আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বেনাপোল ইমিগ্রেশন এতটা ভয়াবহ অবস্থা ধারন করে যে এখানকার অনেক কর্মকর্তার ও করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তার মধ্যেও বসে নেই এই কর্মকর্তা। তিনি অত্যান্ত দক্ষতার সাথে দেড় বছরের অধিককার এই মহামারি দুর্যোগ মোকাবেলা করেন।
এছাড়া ইমিগ্রেশন এলাকায় জিবানু নাশক ওষুধ ছিটানো এবং মাস্ক পরাও সকলকে নিশ্চিত করেন। এ বিষয় ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আহসান হাবিবের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে রাষ্ট্র দায়িত্ব দিয়েছে। এই সময় আমি রাষ্ট্রের স্বার্থে আমার কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পালিয়ে তো দায়িত্ব পালন করা যায় না বিশেষ করে সাধারণ জনগণের সেবাগুলোই মানব ধর্মের সব চেয়ে বড় একটি সেবা মুলুক কাজ বলে আমি মনে করি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)