রবিবার, জুন ১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বারবার বাড়িতে গেলেও কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেননি সভাপতি

কলারোয়ায় অবসরের টাকা না পাওয়ার টেনশনে হার্ট অ্যাটাক করে বৃদ্ধার মৃত্যু

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়ায় অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা না পাওয়ার টেনশনে হার্ট অ্যাটাক করে মাজেদা খাতুন নামে এক কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ১৭ ডিসেম্বর (শনিবার) আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালের আইসিইউ’তে মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্রে জানা যায়, মৃত মাজেদা খাতুন সোনাবাড়ীয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে গত ৯ জুলাই ২০২২ খ্রীঃ তারিখে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের টাকা উত্তোলনের জন্য রেজুলেশন সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে সভাপতির ফরওয়াডিং-এ স্বাক্ষর নিতে স্কুলের সভাপতির বাড়িতে গেলে তিনি স্বাক্ষর না অপমানসূচক উচ্চবাক্য ব্যবহার করে ফিরিয়ে দেন। এরপর থেকে দুঃশ্চিন্তায় পড়েন ভুক্তভোগী পরিবার।

সোনাবাড়ীয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোকলেছুর রহমান বলেন, সভাপতি দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসেন না। গত ২১ নভেম্বর-২০২২ খ্রীঃ তারিখে আমি সহ সিনিয়র শিক্ষক স্বপন কুমার চৌধুরী, আঃ জব্বার, রুহুল কুদ্দুস, কামাল হোসেনকে নিয়ে সভাপতির বাড়িতে গেলে তিনি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেননি। পরবর্তীতে ৫ ডিসেম্বর-২০২২ খ্রীঃ তারিখে আমি ও সিনিয়র শিক্ষক স্বপন কুমার চৌধুরী, রুহুল কুদ্দুসকে নিয়ে নভেম্বরের বেতন বিল, চেক ও চেক রেজিঃ, চেক বহি, ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবানের চিঠি, মাজেদা খাতুনের অবসরের কাগজপত্র সভাপতির কাছে নিয়ে গেলে তিনি বেতন বিল ছাড়া অন্য কোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেননি। আমরা উনাকে বারবার অনুরোধ করি অন্তত মাজেদা খালার অবসরের কাগজটিতে স্বাক্ষর করে দেন। কিন্তু সভাপতি সাহেব স্বাক্ষর না করে আমাদের ফিরিয়ে দেন।

মাজেদা খাতুনের ছোট ছেলে আঃ গফফার গণমাধ্যমকে বলেন, আমার মায়ের মৃত্যুর জন্য সভাপতি-ই দায়ী। মা নিজে একদিন সভাপতির বাড়ি গেছে, আমি দুইদিন গেছি, তবুও সভাপতি অবসরের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেনি। সভাপতিকে বলেছি আমার মা প্রেসারের রোগী, উনি খুব টেনশন করছে। একটু দয়া করে অবসরের কাগজটিতে স্বাক্ষর দেন। তখন সভাপতি বলেন এসব ভেল (অভিনয়), আমি সব বুঝি। এছাড়াও আরও অনেক অকাট্য ভাষায় আমাকে অপমান করেন। এরপর একদিন আমার অসুস্থ মা নিজে যান সভাপতির বাড়িতে। তবুও সেদিন স্বাক্ষর না করে মাকে ফিরিয়ে দেন এবং অপমান করেন। এসব নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আর অপমানে মা ফেরার পথে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম ও নবীছদ্দীন বলেন, বর্তমান সভাপতি স্কুলের জন্য এক ভয়ংকর কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তিনি এর আগে স্কুলের শিক্ষকদের বেতন বিলে স্বাক্ষর না করে বেতন আটকে দেন। কয়েক দিন আগে মাজেদা খালা নিজে তার অবসরের কাগজ পত্র নিয়ে সভাপতির বাড়িতে গেলে তিনি তার সাথে খুব খারাপ আচারণ করেন এবং কাগজে স্বাক্ষর না করে ফিরিয়ে দেন। মাজেদা খালা বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে যশোর সদর হাসপাতলের আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয়। মাজেদা খালার মৃত্যুর জন্য বর্তমান কমিটির সভাপতি দায়ী বলে আমরা মনে করি।

সভাপতি কেন স্কুলে আসেন না, আর কেন তিনি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন না-এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে স্কুলে ৫ জন কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর সভাপতি এসব নিয়োগ নিয়ে রমরমা বাণিজ্যের পায়তারা চালায়, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা এর বিরোধীতা করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তারপর থেকে তিনি সব রাগ স্কুলের প্রতি দেখাতে শুরু করেন।

প্রধান শিক্ষক আখতার আসাদুজ্জামান (চান্দু) বলেন, সভাপতি দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসেন না। বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বাক্ষর করাতে সভাপতির কাছে পাঠানো হলে তিনি স্বাক্ষর না করে ফিরিয়ে দেন। এতে করে স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মাজেদা খাতুনের অবসরের ফরওয়াডিং-এ স্বাক্ষর করাতে অফিস সহকারী সহ সিনিয়র শিক্ষকদের ৩ দিন পাঠানো হলেও সভাপতি স্বাক্ষর করেননি।

এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় সূধীমহল বলেন, আমজাদ হোসেন সভাপতি হওয়ার পর তিনি নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য মরিয়া। নিয়োগ বাণিজ্য ছিল তার মূল টার্গেট। কোনো কারণে সেটি বাস্তবায়ন করতে না পারায় তিনি এখন সরাসরি স্কুলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। স্কুলের বৃহৎ স্বার্থে সভাপতির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্কুলের সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেনের (০১৭১৮-০০২৬৭৬) এই নম্বরের মুঠোফোনে দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬ বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। তবে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়া সীমান্তে ৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় পণ্যসামগ্রী উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা: কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৭ লক্ষবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় টাস্কফোর্সের অভিযান: ৩২ লাখ টাকার কাঠ জব্দ, জরিমানা ২৫ হাজার টাকা

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: কলারোয়ায় তিন স-মিলে টাস্কফোর্সের অভিযানে প্রায় ৩২ লাখ টাকারবিস্তারিত পড়ুন

আঁছ লেগেছে ঈদের: কলারোয়ার টুংটাং আওয়াজ মুখরিত কামার দোকান

মোস্তফা হোসেন বাবলু, কলারোয়া (সাতক্ষীরা): বছর ঘুরে আসে ঈদুল আযহা তাই দরজায়বিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার জালালাবাদ ইউপিতে ১কোটি ৭৫ লাখ টাকার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা
  • কলারোয়ায় অসহায় শিশুর মুখে হাসি ফোটালেন ডিসি-ইউএনও
  • কলারোয়ায় জামায়াতের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির
  • সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে পাঁচ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
  • কলারোয়ার ধানদিয়ায় ৮দলীয় ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
  • তালায় জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত
  • শহীদ জিয়াই এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা ঘটিয়েছেন : সাবেক এমপি হাবিব
  • কলারোয়ায় বিএনপি নেতা আক্তারুল ইসলামের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী পালন
  • কলারোয়া সীমান্তে ৬ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় পণ্যসামগ্রী উদ্ধার
  • সদ্য কারামুক্ত কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করলেন কলারোয়া পৌর আমীর
  • সাতক্ষীরা ও কলারোয়ায় প্রায় ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
  • কলারোয়ার দেয়াড়ায় বিএনপির প্রস্তুতি সভা