প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার
কলারোয়ার দেয়াড়ায় কৃষককে গলা কেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘটন


সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের কৃষক মোসলেম আলী বিশ্বাসকে (৬০) গলা কেটে হত্যার মূল রহস্য উৎঘটন হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ধৃত আসামী নিহতের ছোট জামাতা মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তির তথ্য মতে তিনি জানান, বিএড পরীক্ষার জাল সনদে চাকরি করে আসছিলেন কলারোয়া উপজেলার দিয়াড়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। স¤প্রতি তার সনদ জাল বলে প্রমাণিত হয়। মাদরাসা সুপারই তার সনদ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন। এ নিয়ে শুরু শত্রæতার। সুপারকে ফাঁসাতে তার বয়োবৃদ্ধ শ্বশুরকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে ধরালো ছুরি দিয়ে জবাই করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় ছোট জামাতা (মাদরাসা শিক্ষক) আবুল কালাম আজাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ও সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ্ উদ্দিন।
পুলিশ সুপার বলেন, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের কৃষক মোসলেম আলী বিশ্বাসের ছোট জামাতা দেয়াড়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। তার বিএড সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় সম্প্রতি তদন্ত হয়। এতে সে মাদরাসা সুপারের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এ জন্য সে সুপারকে হত্যার জন্য চেষ্টা করে। সফল হতে না পেরে সে শ্বশুরকে হত্যা করে দোষ মাদরাসা সুপারের ঘাড়ে চাপানোর পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক শ্বশুরকে গত ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার রাাতে নতুন বাড়িতে সে ও তার ভাতিজা হাবিবুর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে শ্বশুরকে জবাই করে ফেলে রাখে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, সুপারকে ফাঁসাতে তারা এ হত্যাকান্ড ঘটায়। পুলিশ আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাইপো হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, হ্যান্ড গ্লাভসসহ বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করে। কালামকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে হাবিবুরকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২৬ নভেম্বর থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে একটি মামলা দায়ের করে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
