খাদ্য মজুদ যেন ১৫ লাখ টনের নিচে না নামে : প্রধানমন্ত্রী
দেশে খাদ্য মজুদ কোনোমতেই যেন ১৫ লাখ টনের নিচে না নামে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ জোরদার করার পাশাপাশি বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি কার্যক্রম সচল রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রোবাবর (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এখনই যে বিপদে পড়েছি তা কিন্তু না। কিন্তু আমার কথাটা হচ্ছে, আমার আগাম ব্যবস্থাটা নিতে হবে যেন ভবিষ্যতে কোনো বিপদে দেশ না পড়ে বা দেশের মানুষ না পড়ে। আমাদের সেই সতর্কতাটা একান্তভাবে দরকার এবং সেই সতর্কবার্তাটাই কিন্তু আমরা দিচ্ছি।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে ১২-১৩টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে করণীয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা খাদ্যের দিক দিয়ে স্বস্তিজনক অবস্থানে রয়েছি। এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ১৬ লাখ টন খাদ্য মজুদ রয়েছে।
‘বৈঠকে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কোনোমতেই যেন খাদ্য মজুদ ১৫ লাখ টনের নিচে না নামে।’
সচিব সভায় ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার আলোচনার প্রেক্ষাপটে দেশের ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্যাংকিং খাত সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা নিয়ে মিটিংয়ে ইনডাইরেক্ট আলোচনা হয়েছে এবং নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স ডিভিশনকে। চারদিকে এতো কথাবার্তা উঠছে, আসল সিনারিওটা কী সেটা শিগগির দেখে অবহিত করবেন আমাদের।’
এছাড়া ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং টিসিবির মতো কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, বিদেশি অর্থায়নে চলমান প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কিছুদিন ধরে এই প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি কিছুটা ধীর। এ বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)