ড্রাগন চাষে সফল মনিরামপুরের মাদ্রাসা শিক্ষক আবু জাফর
যশোর জেলার মনিরামপুরের রাজগঞ্জে পরীক্ষামূলক ভাবে ভিয়েতনামের জাতীয় ফল ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছে আবু জাফর নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক।
ড্রাগন গাছ রোপনের প্রথম বছরেই ভালো ফলন হওয়ায় ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে এ শিক্ষকের।
টক-মিষ্টি ও মিষ্টি স্বাদের ড্রাগন চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন রাজগঞ্জের মশ্বিমনগর ইউনিয়নের পারখাজুরা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবু জাফর। তিনি পারখাজুরা গ্রামের মাঠেই ড্রাগন চাষ করেছেন।
প্রায় ২ বছর আগে মাত্র ২০ শতক জমির উপর পরীক্ষামূলক ভাবে গড়ে তোলেন ভিয়েতনামী ফল ড্রাগনের ক্ষেত। তিনি এ খামারে ড্রাগন গাছ রোপনের ১ বছরের মাথায় ৮০০ কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। যার মূল্য পেয়েছেন তিনি প্রায় আড়াই লক্ষ্য টাকা।
বিদেশি ফল ড্রাগন চাষে সফলতা পাওয়া রাজগঞ্জের পারখাজুরা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবু জাফর জানান, প্রায় ২ বছর আগে ড্রাগন বাগানের সূচনা করি। ২০ শতক জমিতে ১৪৬টি পুলে মোট ৭০০ ড্রাগন গাছ রোপন করি। ড্রাগন চাষে আমাদের দেশের আবহাওয়া বেশ উপযোগী। তাই ড্রাগন পরীক্ষামূলক ভাবে এ চাষ করেছি। লতানো, কাটাযুক্ত গাছ, এ গাছকে ওপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে ওপরের দিকে তুলে বেঁধে টায়ারের সাহায্যে মেলে দেওয়া হয়েছে। এতেই ড্রাগন গাছের সৌন্দর্য্য ফুটে উঠেছে।
তিনি আরো জানান, ড্রাগনের চারা রোপণের ১০ থেকে ১৫ মাসের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়। এপ্রিল থেকে মে মাসে ফুল আসে আর শেষ হয় নভেম্বর মাসে। ফুল আসার ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়। নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফুল ফোটা এবং ফল ধরা অব্যাহত থাকে। এক একটি ফলের ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে এক কেজিরও বেশি হয়ে থাকে। একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ থেকে ১০০ থেকে ১৩০টি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে একটি গাছ হতে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। ড্রাগন একটি লাভ জনক চাষাবাদ।
মশ্বিমনগর ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি অফিসার এ এম আলতাফ হোসেন ও রাহিমা খাতুন বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষক আবু জাফর পরীক্ষামূলক ড্রাগন চাষে সফলতা পেয়েছেন। বিদেশি এ ফসল দেশের মাটিতে চাষ বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ ফল চোখকে সুস্থ রাখে, শরীরের চর্বি কমায়, রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, উচ্চ রক্তচাপ কমানোসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমরা সর্বক্ষণ এ চাষিকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)