পাস-পারমিটের দাবিতে শ্যামনগরের সুন্দরবন উপকূলে মানববন্ধন ও জেলে সমাবেশ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুন্দরবন উপকূলে মানববন্ধন ও জেলে সমাবেশ থেকে জঙ্গলে কাকড়া আহরণ মৌসুমে পাস-পারমিটের দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় সাধারণ জেলেদের আহবানে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও জেলে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছবেদ আলী গাজী।
বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ডালিম কুমার ঘরামী, আবিয়ার গাজী, শেফালী বিবি, নজরুল গাজী, নুরুল আমিন মোড়ল, শহীদুল গাজী, সিরাজুল গাজী, শরীফুল ইসলাম, দিদার বক্স, শাহ পরাণ, রুবেল হোসেন, মহিবুল্লাহ, ইয়াসিন বিল্লাহ, জুলফিাকার গাজী প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ডালিম কুমার ঘরামী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় জীবন ও জীবিকার সমন্বয়ের কথা বলছেন, তখন কেউ কেউ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে জেলে পেশা ধ্বংস করার পায়তারা চালাচ্ছে। অথচ এই মৌসুমে ঠিকই সুন্দরবনের ভারত পাড়ে জেলেরা কাকড়া আহরণ করছে।
তিনি অবিলম্বে জেলেদের কাকড়া আহরণ মৌসুমে পাস পারমিট চালু করার দাবি জানান।
মুখে মাস্ক বেঁধে শারীরিক দূরত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানববন্ধন ও জেলে সমাবেশে উপকুলের মানুষরা জেলে বনজীবীদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আহবান জানান।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুন্দরবন উপকুলের মানুষ করোনা পরিস্থিতি সাথে বুলবুল সুপার সাইক্লোন আম্পান উপদ্রুত হয়ে চরম দুর্দশায় পড়ে। এরসাথে কাকড়া আহরণের ভরা মৌসুমে জেলেদের পাস-পারমিট বন্ধ করায় জেলেরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। ফলে তাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়ার কারণে তাদের সাথে তাদের পরিবারগুলো পড়েছে খাদ্যাভাবে।
জেলে শাহজালাল গাজী জানান, সুন্দরবনের উত্তরাধিকার বনজীবী জেলেদের অধিকারহরণ করে সুন্দরবনে পাস পারমিট বন্ধ করা হয়েছে। জেলেদের জীবিকায় কালো হাত ঢোকানো হয়েছে। অথচ বনবিভাগকে ম্যানেজ করে ঠিকই অসাধু জেলে নামধারীরা জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
জেলে আকবর মোড়ল বলেন, সুন্দরবনে কাকড়া আহরণ মৌসুমে পাস-পারমিটের দাবি অত্যন্ত ন্যায় সঙ্গত। অথচ জেলেরা যখন তার জল ও জালের কথা বলছে তখন বন বিভাগ হুমকি ধামকি দিয়ে তাদের কর্মসূচি বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
মানববন্ধন ও জেলে সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশীদ সুমন, মহিউদ্দিন মাহমুদ, আশিকউজ্জামান সবুজ, জালাল হোসেন, আব্দুর রহমান, রাজু হোসেন, সেলিম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শামীম হোসেন, আবু রেহান, মোমিন হোসেন।
ছাত্রনেতৃবৃন্দ বলেন, কেউ কেউ অসাধুদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও জেলে সমাবেশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। চেষ্টা করে সাধারণ জেলেদের ঐক্যকে বিভাজিত করারও চেষ্টা করে।
তারা বলেন, সাধারণ মানুষের ঐক্যকে যারাই বিভাজিত করার চেষ্টা করবে তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের অপকর্মকে সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)