সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ফোন নম্বর মুখস্থ থাকাই কাল হলো তোফাজ্জলের?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘চোর সন্দেহে’ তোফাজ্জল হোসেনকে (৩০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। পরে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে যখন এই তোফাজ্জল হোসেনকে মারধর করা হচ্ছিল তখন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য তিনি স্বজনদের নম্বর দিয়েছিলেন।

খবর পেয়ে তোফাজ্জলের মামাতো বোন আসমা আক্তার তানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক ছাত্রের নম্বরে ফোন করে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে বলেন, ‘ও পাগল’। তখন ফোনে থাকা ছাত্রটি বলেন, “পাগলে এত নম্বর মনে রাখে ক্যামনে?”

তানিয়ার অভিযোগ, এরপর তাকে আরও বেশি করে মারধর করা হয়।

তানিয়া বলেন, ‘ও যখন আমার আব্বার নম্বর, ওর ভাবির নম্বর, চাচাত ভাইদের নম্বর দিছে, তখন ওরে আরও বেশি মারছে। ওরা আবার বলছে, “একটা পাগলের এত নম্বর মুখস্থ থাকে ক্যামনে?” ’

‘পাগলে ক্যামনে এত নম্বর মনে রাখে কইয়া আরও মারছে’- বারবার একই কথা বলছিলেন তানিয়া।

‘কিন্তু সব পাগল তো এক রকম না। সব পাগলের আচরণ তো একই রকম না’, বলছিলেন তোফাজ্জলের মামাতো বোন।

তানিয়া ফোনে ভাইকে বাঁচাতে কাকুতি মিনতি করলেও কারও মন গলেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘আমি তাদের বলছি, আপনারা যারে ধরছেন ও কোনো অপরাধী না, ও পাগল, হয়ত খিদা লাগলে কারও খাবারের দিকে হাত বাড়াইতে পাড়ে অথবা টাকা চাইতে পারে, এর বেশি কিছু ও করে না। ও পাগলামি কইরা কাউরে মারধর করে না, কারও ক্ষতিও করে না। কিন্তু তারা শোনে নাই। এমনভাবে কোনো মানুষ একটা মানুষরে মারতে পারে না। আমরা এর বিচার চাই।’

এদিকে, দেশে গণপিটুনির বেশিরভাগ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও আলোচনায় না আসলে পুলিশের তেমন তৎপরতা থাকে না। সেই মামলার তদন্ত বিচার ঝুলে থাকে বছরের পর বছর।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেণু নামে এক নারীকে গণপিটুনি দেয়ার ঘটনা বেশ আলোচিত হলেও এখন পর্যন্ত ওই হত্যা মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।

সংবিধানে মানবাধিকার নিশ্চিত করা হলেও দেশের প্রচলিত আইন ও তদন্ত ব্যবস্থায় গণপিটুনিতে শাস্তি নিশ্চিত করা বেশ কঠিন। এ কারণে গণপিটুনিতে অংশ নেওয়ার অপরাধে বাংলাদেশে কারও দণ্ড হওয়ার নজির বাংলাদেশের আদালতে বিরল বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক

একই রকম সংবাদ সমূহ

চীনে এবার আম, আগামী বছর যাবে কাঁঠাল

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে আম পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টাবিস্তারিত পড়ুন

সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি : নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, খুব সজাগবিস্তারিত পড়ুন

‘সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না’

সংস্কার না করে জাতীয় সংসদ আর স্থানীয় সরকার- কোনো নির্বাচন করেই ভালোবিস্তারিত পড়ুন

  • বিচার ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আবারো বৈঠকে বিএনপি
  • যাদের উসকানিতে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ
  • মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি
  • আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
  • নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ
  • এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
  • ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না : মির্জা ফখরুল
  • একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ
  • আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
  • নির্বাচনের দেখা নেই, জনগণ সুখে নেই: ফারুক
  • ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহকদের জন্য বড় সুখবর