যশোরের মণিরামপুরে বাবার উপর অভিমান করে ছেলের আত্মহত্যা
যশোরের মণিরামপুরে মাংস খেয়ে ফেলায় বাবার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বাপ্পি হোসেন (৭) নামের এক শিশু।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিশুটির মরাদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাপ্পি উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের কায়েমকোলা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। সে স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো।
এ বিষয়ে বাপ্পির বাবা আব্দুল মালেক বলেন- আজ সকালে ছেলেকে নিয়ে আমি খেতে বসি। ওরে দুই টুকরা মাংস দিয়ে আমি একটি হাড়সহ মাংস নিই। এতে ছেলে রাগ করে। তখন আমি ওরে বলেছি, ফ্রিজে মাংস আছে। তোমাকে রান্না করে দেবো। এরপর খাওয়া শেষে আমি শৌচাগারে যাই। ফিরে এসে ছেলেকে ডাকাডাকি করি। পরে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। জানালা দিয়ে দেখি মশারির দড়ি গলায় জড়িয়ে আমার ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলের এ অবস্থা দেখে আমি চিৎকার দিলে পাশের বাড়ির নূরনবী নামে এক কিশোর এসে ভেন্টিলেটর দিয়ে উঠে ঘরের দরজা খুলে দেয়। ততক্ষণে আমার ছেলে না মারা যায়।
বাপ্পির মা মঞ্জুয়ারা বেগম জানান- তার ছেলে খুব রাগী ছিলো। আজ সকালে মাংস খাওয়া নিয়ে বাপ্পি তার বাবার সঙ্গে রাগ করে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন- বাপ্পি বাবা-মার একমাত্র ছেলে এবং খুবই অভিমানী ছিলো। আজ সকালে খাবার খাওয়ার সময় মাংস কম হয়ে যাওয়ায় বাবার সঙ্গে রাগ করে সে। পরে ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
ওসি আরও বলেন- ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)