সাতক্ষীরার সদরে বল্লী ইউনিয়নে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ


সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বল্লী ইউনিয়নে নারায়নপুর গ্রামে খালের দুপাশে ১০টি মেহগনি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠছে।
সরোজমিনে যেয়ে দেখা যায়, বল্লির নারায়নপুর এলাকার সড়কের পাশ দিয়ে ছোট একটি খাল তার দুইধারে ১০-১৫টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সরকারি জমির উপর এই গাছ কেটে বিক্রি করছে একই এলাকার মোঃ দিছার আলীর পুত্র মোঃ রবিউল ইসলাম। গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এই গাছ কর্তন করে। সরকারি জমিতে মেহগনি গাছ কর্তনের সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাদের সাথে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। রবিউল ইসলাম তাদের তোয়াক্কা না করে একে একে ১০টি মেহগনি গাছ কোন পারমিশন ছাড়া কেটে সাবাড় করে।
স্থানীয়রা জানান, আমরা দির্ঘদিন ধরে খাল ধারে সরাকারি জায়গায় মেহগনি গাছ দেখে আসছি কিন্তুু এরকম সাহস কারোর হয়নি, আমরা গাছ কাটার সময় নিষেধ করায় আমাদের সাথে সে খারাপ আচারণ করছে। রবিউল ইসলাম ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছিল আর এই সরকারি ১০ টি মেহগনি গাছ বিক্রি করছে সাবেক যুবলীগ নেতা তাহের মেম্বররের কাছে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে। তথ্য অনুন্ধানে জানা যায়, রবিউল ইসলাম সে এলাকায় আওমালীগ সরকারের সময় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকতো মানুষ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পেত না। সরকারি ১০টি মেহগনি গাছ কাটায় এলাকায় মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসি এক ব্যাক্তি বলেন, ৫ তারিখের পরে সারা বাংলাদেশের মানুষ একটু সস্তিতে বসবাস করছে কিন্তুু আমাদের এলাকায় এখনো ফ্যাসিস্টরা মাথাচাড়া দিয়ে আছে আমরা এই রবিউলের বিচার চাই যাতে আর কেহ এরকম কাজ না করতে পারে।
স্থানীয় আবু মুসা নামে এক ব্যাক্তি জানান, গাছ কাটার সময় আমি রবিউল কে বলছি এই গাছ সরকারি জায়গায় কাটা যাবে না অনুমতি ছাড়া তখন সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে আমি কাটবো তুই পারলে ঠেকা। আমি এই রবিউলের বিচার চাই।
এ বিষয়ে নারায়নপুর ইউপি মেম্বর রবিউল ইসলাম জানান, আমি এলাকার মানুষের মাঠে যাওয়ার জন্য একটি কাঁচা রাস্তা করছি এজন্য রবিউলকে বলছি তুমি অনুমতি নিয়ে গাছ কেটে নাও কিন্তুু সে আমার কথা না শুনে স্থানিয় জামায়াত নেতা পিকলু হাজ্ঝী অনুমতি নিয়ে গাছ বিক্রি করছে।
সরকারি গাছ কর্তনের বিষয় জানতে চাইলে রবিউল বলেন, আমি ১০টি মেহগনি গাছ কাটছি রবিউল মেম্বররের কাছে অনুমতি নিয়ে। গাছ আমি রোপন করছি তাই কেটে নিয়েছি। আপনারা নিউজ করেন।
এ বিষয়ে ১০ নং বল্লি ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মহাসিন হোসেন জানান, ১০ টি মেহগনি গাছ কাটার বিষয় জানতে পেরে আমি ওইখানে গিয়ে দেখি গুড়ি সবগুলো পড়ে আছে। রবিউল ইসলাম গাছ কাটার অনুমতি দেখাতে পারেনি আমি এসিল্যান্ড স্যারকে অবহিত করছি এবং গাছগুলো স্থানিয় এক মসজিদের ইমামের জিম্মায় দিয়ে এসছি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
