শুক্রবার, জুলাই ৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

অনুপ্রবেশ ইস্যুতে চরম বিপাকে আ. লীগ

হাইব্রিড আর অনুপ্রবেশ ইস্যুতে নানা সমালোচনায় বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাছাড়া যাদের হাত দিয়ে আওয়ামী লীগে ক্ষতিকর অনুপ্রবেশ ঘটেছে, সেসব নেতা আতঙ্কে আছেন। দায় এড়াতে গা বাঁচিয়ে চলছেন অনেকে। এমনকি কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব অনুপ্রবেশ হয়েছে তার খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

দলের নেতারা বলছেন, অনুপ্রবেশকারীরা সবসময় ঢোকার চেষ্টা করবে। কিছু নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দলে জায়গা করে নেয়। পেছনে বহর বাড়ানোর জন্য বাছ-বিচার না করেই ভিন্নমতের লোকদের দলে ভেড়াচ্ছেন তারা। মন্ত্রী-এমপিদের হাত ধরে তৃণমূলেও অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

রিজেন্টের সাহেদ, পাপিয়া কিংবা জিকে শামীমদের মতো চরিত্রের উন্মোচন হলেই আওয়ামী লীগে হাইব্রিড আর অনুপ্রবেশের বিষয়গুলো বেশি আলোচিত হয়। এবার জোরালো দাবি উঠেছে, সাহেদরা যে দরজা দিয়ে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে, সে দরজা বন্ধ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের দল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এদেরকে কিন্তু সরকারই আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। এর বিশেষ কৃতিত্ব আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এসব দুর্নীতিবাজ ও অনুপ্রবেশকারীদের মূলোৎপাটনের কাজ শুরু করেছে। আমরা বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এসব দুর্নীতিবাজকে নির্মূল করতে চাই।”

অনুপ্রবেশকারীদের দলীয় নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের বিষয়ে নাছিম বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল দল। আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা এবং আত্মোপলব্ধির মধ্য দিয়ে অটোমেটিক্যালি বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। আওয়ামী লীগের মধ্যে যতটা গণতন্ত্র আছে অন্য কোনো দলে সেটা নেই। দলের কোনো নেতা এসব অনুপ্রবেশকারীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকলে তাও বের হয়ে আসবে। দলের দুয়েকজন নেতা যদি অনুপ্রবেশের প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন সে বিষয়টিও নেত্রী দেখবেন।”

আওয়ামী লীগের নেতারা হাইব্রিডের চেয়ে অনুপ্রবেশকে বেশি ভয়ঙ্কর মনে করছেন। কারণ অনুপ্রবেশকারীরা নিজেদের আদর্শের কৌশলী জাল বিস্তারের জন্য দলে প্রবেশ করে। নিজেদের মৌলিক উদ্দেশ্য গোপন রেখে অন্য একটি দলে প্রবেশ করে দলের তথ্য সংগ্রহ করে অথবা দলের রাজনীতি নিজেদের আদর্শিক পন্থায় প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে তারাই অনুপ্রবেশকারী।

আর হাইব্রিড নেতৃত্ব অধিকাংশ সময় সমগোত্রীয় আদর্শের রাজনীতি থেকে উঠে আসে। হাইব্রিড নেতাকর্মীরা দলের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব তৈরির কাঠামোর সীমাবদ্ধতা পুঁজি করে ওপরের স্তরের নেতাদের আশীর্বাদে তাড়াতাড়ি নেতৃত্বে চলে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে দলের প্রয়োজনে হাইব্রিড নেতৃত্ব তৈরি করা হয়। হাইব্রিড নেতা তৈরির প্রক্রিয়াটি সাধারণত নির্বাচনের সময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। হাইব্রিড সম্প্রদায় রাজনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে আগ্রহী নয়। যেসব হাইব্রিড নেতা দলে স্থান করে নিয়ে দলটির মূলধারার নেতাকর্মীদের এড়িয়ে চলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে অঢেল সম্পদ বাগিয়ে নেন, দলের সঙ্কটে পাশে থাকেন না, তারা দলের জন্য ক্ষতিকর।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলছেন, “আওয়ামী লীগে যাদের মধ্যে জাতির পিতার নীতি-আদর্শ নেই, যারা বঙ্গবন্ধুর নীতি- আদর্শে বিশ্বাস করে না তারাই অনুপ্রবেশকারী। যারা দলের সুনাম নষ্ট করে। স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলে প্রবেশ করে, দলের নীতি আদর্শে যাদের কোনো আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থন নেই। যারা দলের ক্ষতি করার জন্য দলে প্রবেশ করে, দলকে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে তারাই অনুপ্রবেশকারী।”

তিনি বলেন, “হাইব্রিডের মধ্যেও অনুপ্রবেশকারী আছে। স্বার্থসিদ্ধির জন্য নানা পথে এসব অনুপ্রবেশকারী দলে ঢুকে পড়ছে। ভবিষ্যতে যেন এরা দলে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এদেরকে আওয়ামী লীগ প্রশ্রয় দেয় না। তারা নিজেরাই নিজেদের মতো করে সুযোগ করে নেয়। এরা প্রতারণা করতে আসে। কীভাবে করতে হয় এরা ভালো জানে। এদেরকে ধরা অনেক কঠিন।”

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, “কত মানুষ, কত রূপে দল ও সরকারে ঢুকে পড়ছে। সরকার ও দলে ঢুকে পড়া এসব দুর্বৃত্ত কেউ ছাড় পাবে না। এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা সজাগ আছেন। আওয়ামী লীগই এসব চোরকে ধরছে।”

করোনা মহামারির নকল সনদ দেওয়া আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। দল ও সরকারের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় কখনও মেজর, কখনও প্রধানমন্ত্রীর এপিএস, কখনও সাংবাদিক নেতা পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াতেন। আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা বলছেন, সাহেদ, খালেদ ও পাপিয়ারাই শুধু নয়, এমন সংখ্যা কত? গোনায় শেষ হবে না। দল টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কাঠামোয় অনুপ্রবেশ ঘটেছে। কিছু কেন্দ্রীয় নেতা নিজেদের প্রটোকল বাহিনী বড় করতে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের নেতাকে দলে ভেড়ান। কখনই তাদের রাজনৈতিক খতিয়ান দেখেননি। কেউ কেউ বিশেষ সুবিধা নিয়েও পদ-পদবি দিয়েছেন। কিংবা সহযোগী সংগঠনের পদ দিতে বাধ্য করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের।

একই রকম সংবাদ সমূহ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি: নাহিদ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশ নেবেবিস্তারিত পড়ুন

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামীর রাজনীতি ও গণতন্ত্র উত্তরণেরবিস্তারিত পড়ুন

ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়নি : নাহিদ ইসলাম

ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার এখনো পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেনবিস্তারিত পড়ুন

  • ২০১৮’র প্রহসনের নির্বাচনের আগে গোপন বৈঠক হয় যেখানে
  • সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে সাংবিধানিক কমিটি হবে: ডা. তাহের
  • ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কোনো মামলায় প্রথম সাজা শেখ হাসিনার
  • ক্ষমতায় এলে চব্বিশের শহীদদের নামে স্থাপনা-সড়কের নামকরণ করবে বিএনপি
  • শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি : নাহিদ
  • ‘আ.লীগ কখনই শোধরাবে না, সুযোগ পেলে আগের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে’
  • বিএনপি ধরে নিয়েছে তারা আবার ক্ষমতায় গিয়ে অপকর্ম করবে: ডা. তাহের
  • খালেদা জিয়া হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি? পিনাকীর পোস্টে আলোড়ন
  • জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করলে আবারও রাজপথে নামবো : রংপুরে নাহিদ
  • আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
  • বিজয় স্মরণীতে স্মারক ম্যুরাল ভেঙে ফেলার নিন্দা ও প্রতিবাদ কমিউনিস্ট পার্টির
  • গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসে শ্রমিক নির্যাতন ও হত্যার নিন্দা ও বিচার দাবি কমিউনিস্ট পার্টির