আশাশুনিতে স্ত্রীকে তালাক দেয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানি! প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


সাতক্ষীরার আশাশুনিতে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার বাইনতলা গ্রামের তফিল উদ্দীন সানার পুত্র হাফিজুল সানা।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের আব্দুল গফুর গাজীর কন্যা রেখসনা খাতুনের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে আমার স্ত্রী রেখসনা পারিবারিক ও সামাজিক কোন বিধিনিষেধ না মেনে উশৃঙ্খলা চলাফেরা এমনকি মাঝে মধ্যে অন্যত্র রাত্রিযাপন করতে থাকে। এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ গণম্যান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একাধিকবার শালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি আমার স্ত্রী রেখসনা খাতুনের চারিত্রীক ত্রুটি নিয়ে এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রও রয়েছে। সংসার করা কালে সে আমার পিতা-মাতার দায়িত্ব পালন করতো না। তাদের ঠিকমত খেতেও দিত না এবং বিভিন্ন আপত্তিকর গালিগালজ করতো। তারপরও অনেক চেষ্টা করে ছিলাম তার সাথে সংসার করার। কারন ইতোমধ্যে তার গর্ভের আমার ২ কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু তার চরিত্র না পাল্টে আরো বেপরোয়া চলাফেরা করতে থাকে রেখসনা খাতুন। আমি উপায়ন্তর হয়ে গত ১৪/০৯/২০২০ তারিখে দেন মোহর ও খোরপোষের টাকা পরিশোধসহ তালাক প্রদান করি। তালাকের খবর পেয়ে রেখসনা খাতুন গত ১৯/০৯/২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার পিটি নং- ৪১৩/২০। এরপর গত ০৮/১০/২০২০ তারিখে আশাশুনি পারিবারিক আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করে। যার নং- ৩৩/২০২০। মামলাটিতে আমার নিরিহ ভাই এবং বোন-বোনাইকে জড়িয়েছে। অথচ তাদের বাড়ি অন্য গ্রামে। দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি রেখসনা খাতুন। বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক মিথ্যা হয়রানি মূলক অভিযোগ দায়ের করে যাচ্ছে। আমি একজন অসহায় দ্বীনমজুর শ্রেণির মানুষ। ওই তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর একের পর এক মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা অভিযোগের কারনে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সে মামলা করেছে। মামলায় বিচারে যে সাজা হবে সেটি মেনে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু রেখসনা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ার পূর্বেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আমাকে পথে বসিয়ে দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন।
তিনি ওই তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর কবল থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু কামনা করেছেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
