বৃহস্পতিবার, মে ৮, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ঐতিহাসিক মর্যাদায় দাঁড়িয়ে আছে বংশীপুর শাহী মসজিদ

এবিএম কাইয়ুম রাজ : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক বংশীপুর শাহী মসজিদ স্থাপত্য ও ইতিহাসের অপূর্ব নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শ্যামনগর বাস টার্মিনাল থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে এই মসজিদটি অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি টেঙ্গা মসজিদ নামেও পরিচিত।

১৩৩ ফুট ৯ ইঞ্চি দীর্ঘ ও সাড়ে ৩২ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট এই আয়তাকার মসজিদটি স্থাপত্য বৈচিত্র্যে অনন্য। এর নির্মাণশৈলী মুঘল আমলের ইঙ্গিত দেয়। স্থানীয়ভাবে অনেকে বিশ্বাস করেন, মসজিদটি মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে নির্মিত। অন্য একমত অনুসারে, যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য তাঁর রাজত্বকালে মুসলিম অনুগামীদের জন্য এটি নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ষোড়শ শতকের শেষদিকে এই মসজিদটি নির্মিত হয়ে থাকতে পারে।

ধারণা করা হয়, রাজা প্রতাপাদিত্যের বিশ্বস্ত সেনাপতি খাজা কামালের উদ্যোগে মুসলিম সৈন্যদের প্রার্থনার জন্য একটি ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। ফারসি ‘টেঙ্গা’ শব্দ থেকে এর নামকরণ হয় টেঙ্গা মসজিদ। কালের বিবর্তনে সেই ছাউনিই একসময়ে শাহী মসজিদে রূপ নেয়। তবে দীর্ঘ সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা অবস্থায় মসজিদটি পরিত্যক্ত ছিল। বিশ শতকের শুরুতে এটি আবিষ্কৃত হয়।

মসজিদটির গাঁথুনিতে ব্যবহৃত ইটের সঙ্গে যশোরেশ্বরী মন্দির ও বারোদুয়ারি মন্দিরের ইটের মিল থাকায় এটি প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ধুমঘাটের সময়কার নির্মাণ বলেই অনুমান করা হয়। গম্বুজের নিচে কারুকাজ, আটকোণা ঘাড়, খাঁজ এবং খিলান দরজা মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করলেও পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত সংস্কারে মসজিদের অনেক প্রাচীন বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যায়। সিমেন্ট ও বালির প্লাস্টারে ঢেকে ফেলা হয় ইটের কারুকাজ, মোজাইক বসানো হয় মেঝেতে এবং গম্বুজের নিচের আদি নকশাগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বর্তমানে মসজিদটি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহারোপযোগী করা হয়েছে। মূল ভবনের পাঁচটি কক্ষে বসানো হয়েছে দশটি এসি। মেঝে ও দেওয়াল টাইলস দিয়ে আবৃত। প্রতিটি কক্ষের পশ্চিম দেওয়ালে রয়েছে মিহরাব, যার মধ্যে মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। উত্তর-পূর্ব কোণে নির্মিত হয়েছে একটি আধুনিক মিনার।

মসজিদ প্রাঙ্গণে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি বৃহদাকৃতির কবর স্থানীয়ভাবে “বার ওমরাহ” নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, এগুলো মুঘল সম্রাট আকবরের পক্ষ থেকে প্রেরিত ১২ সেনানায়কের সমাধি।

প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে হাজারো মুসল্লির মিলনমেলায় মুখর হয়ে ওঠে মসজিদ চত্বর। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এই প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনাটি একনজর দেখতে। বাংলাদেশের ইতিহাস, স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য সাক্ষী হয়ে আজও পূর্ণ মর্যাদায় দাঁড়িয়ে আছে বংশীপুর শাহী মসজিদ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় গ্রামে গ্রামে ধান শুকাতে ব্যস্ত নারীরা

মেহেদী হাসান শিমুল: এবছর ইরি ধানের ফলন ভালো হয়েছে আমরা অনেক খুশি।বিস্তারিত পড়ুন

উপকূলে শঙ্কা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নিয়ে

২০০৯ সালের ২৫ মে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় আয়লার পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই মেবিস্তারিত পড়ুন

আম সংগ্রহ শুরু, দেশের বাজারে মিলবে সাতক্ষীরার নানান জাতের আম

নিজস্ব প্রতিনিধি: অপেক্ষার প্রহর শেষে এখন থেকে দেশের বাজারে মিলবে সাতক্ষীরার আম।বিস্তারিত পড়ুন

  • শ্যামনগরে ইভটিজিং: এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করায় তিন যুবকের কারাদণ্ড
  • শ্যামনগরে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে র‌্যালি ও সমবেশ
  • শ্যামনগরে শ্রমিক দলের উদ্যোগে মে দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা
  • সাতক্ষীরা ৫ মে থেকেই বাজারে আসবে আম
  • সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ ক্যালেন্ডার প্রকাশ, নির্ধারিত সময়ের আগে আম ভাঙলে ব্যবস্থা
  • শ্যামনগরে মোটরসাইকেল দু*র্ঘট*নায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ নিহ*ত
  • শ্যামনগরে জামায়াতের দাওয়াতি গনসংযোগ
  • শ্যামনগরের কাশিমাড়ীতে উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা
  • লিডার্স-এর বার্ষিক শিক্ষণ বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
  • শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু
  • এবিএম কাইয়ুম রাজের কবিতা “মায়ের ভালোবাসা”