বুধবার, জুলাই ১৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ঐতিহাসিক মর্যাদায় দাঁড়িয়ে আছে বংশীপুর শাহী মসজিদ

এবিএম কাইয়ুম রাজ : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক বংশীপুর শাহী মসজিদ স্থাপত্য ও ইতিহাসের অপূর্ব নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শ্যামনগর বাস টার্মিনাল থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে এই মসজিদটি অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি টেঙ্গা মসজিদ নামেও পরিচিত।

১৩৩ ফুট ৯ ইঞ্চি দীর্ঘ ও সাড়ে ৩২ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট এই আয়তাকার মসজিদটি স্থাপত্য বৈচিত্র্যে অনন্য। এর নির্মাণশৈলী মুঘল আমলের ইঙ্গিত দেয়। স্থানীয়ভাবে অনেকে বিশ্বাস করেন, মসজিদটি মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে নির্মিত। অন্য একমত অনুসারে, যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য তাঁর রাজত্বকালে মুসলিম অনুগামীদের জন্য এটি নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ষোড়শ শতকের শেষদিকে এই মসজিদটি নির্মিত হয়ে থাকতে পারে।

ধারণা করা হয়, রাজা প্রতাপাদিত্যের বিশ্বস্ত সেনাপতি খাজা কামালের উদ্যোগে মুসলিম সৈন্যদের প্রার্থনার জন্য একটি ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। ফারসি ‘টেঙ্গা’ শব্দ থেকে এর নামকরণ হয় টেঙ্গা মসজিদ। কালের বিবর্তনে সেই ছাউনিই একসময়ে শাহী মসজিদে রূপ নেয়। তবে দীর্ঘ সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা অবস্থায় মসজিদটি পরিত্যক্ত ছিল। বিশ শতকের শুরুতে এটি আবিষ্কৃত হয়।

মসজিদটির গাঁথুনিতে ব্যবহৃত ইটের সঙ্গে যশোরেশ্বরী মন্দির ও বারোদুয়ারি মন্দিরের ইটের মিল থাকায় এটি প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ধুমঘাটের সময়কার নির্মাণ বলেই অনুমান করা হয়। গম্বুজের নিচে কারুকাজ, আটকোণা ঘাড়, খাঁজ এবং খিলান দরজা মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করলেও পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত সংস্কারে মসজিদের অনেক প্রাচীন বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যায়। সিমেন্ট ও বালির প্লাস্টারে ঢেকে ফেলা হয় ইটের কারুকাজ, মোজাইক বসানো হয় মেঝেতে এবং গম্বুজের নিচের আদি নকশাগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বর্তমানে মসজিদটি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহারোপযোগী করা হয়েছে। মূল ভবনের পাঁচটি কক্ষে বসানো হয়েছে দশটি এসি। মেঝে ও দেওয়াল টাইলস দিয়ে আবৃত। প্রতিটি কক্ষের পশ্চিম দেওয়ালে রয়েছে মিহরাব, যার মধ্যে মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। উত্তর-পূর্ব কোণে নির্মিত হয়েছে একটি আধুনিক মিনার।

মসজিদ প্রাঙ্গণে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি বৃহদাকৃতির কবর স্থানীয়ভাবে “বার ওমরাহ” নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, এগুলো মুঘল সম্রাট আকবরের পক্ষ থেকে প্রেরিত ১২ সেনানায়কের সমাধি।

প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে হাজারো মুসল্লির মিলনমেলায় মুখর হয়ে ওঠে মসজিদ চত্বর। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এই প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনাটি একনজর দেখতে। বাংলাদেশের ইতিহাস, স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য সাক্ষী হয়ে আজও পূর্ণ মর্যাদায় দাঁড়িয়ে আছে বংশীপুর শাহী মসজিদ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শ্যামনগরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল চিংড়ি চাষির

এবিএম কাইয়ুম রাজ : শ্যামনগরে বজ্রপাতে সুভাষ মালো (৪০) নামে এক চিংড়িবিস্তারিত পড়ুন

শ্যামনগরের কালিঞ্চীর কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ

এবিএম কাইয়ুম রাজ: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডেরবিস্তারিত পড়ুন

নীরব এক সংগ্রামী আলোকবর্তিকা- এবিএম কাইয়ুম রাজ

সত্য, ন্যায় ও মানবিকতার পথে যিনি অবিচল—তিনি এবিএম কাইয়ুম রাজ। শ্যামনগরের কৈখালীবিস্তারিত পড়ুন

  • শ্যামনগরে যুব জামায়াতের ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ
  • শ্যামনগরে উপকূলীয় নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে সিসিডিবি
  • শ্যামনগরের মানিকখালী-রমজাননগর সড়কের কালভার্টে বেহাল দশা, চলাচলে ঝুঁকি
  • শ্যামনগরে রাস্তায় পানি, জনদুর্ভোগ চরমে
  • শ্যামনগরে চেতনানাশক স্প্রে করে দুই পরিবারের সর্বস্ব লুট
  • শ্যামনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আমন মৌসুমের বীজ ও সার বিতরণ
  • উপকূল গবেষণায় ৪ জনকে লিডার্সের গবেষণা বৃত্তি প্রদান
  • শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত
  • লিডার্স কার্যালয়ে নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে VIA Test ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
  • শ্যামনগরের গাবুরাতে জলবায়ু সহনশীলতা নিয়ে ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত
  • শ্যামনগরে নারীদের নিয়ে নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
  • শ্যামনগরে জলবায়ু সাংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান