বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলম থেকে কলাম..

করোনা স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য রাষ্ট্রের করণীয় কি?

করোনা স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য রাষ্ট্রের করণীয় কি?

:নাজমুল হক:

করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে আলোচিত নাম স্বেচ্ছাসেবক। ২৫ মার্চের লক ডাউন থেকে শুরু করে প্রতিদিনই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে মানবতার কল্যানে বিবেকের তাড়নায় রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষকে সেবা করতে। এটি একদিকে যেমন ভালো লাগার, অন্যদিকে শঙ্কারও বটে। লকডাউন কার্যকরে দিনরাত রাস্তায় পাহারা, বাড়িতে খাওয়ার পৌঁছে দেয়া, জানাযা অংশ, করোনা রোগীর দাফনেও অংশ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবকরা। অতীতে ঝড়, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করলেও এবার করছে বীরের ন্যায় মৃত্যু শঙ্কার মধ্যে অদৃশ্য এক শক্তির বিরুদ্ধে। যে শক্তির প্রভাবে বিশ্বের অতি ক্ষমতাধর দেশ ধরাশায়ী হয়েছে। ঠিক তখনই এক বুক আশা নিয়ে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই ঝাপিয়ে পড়েছে এক ঝাঁক নিবেদিত তাজাপ্রাণ যুবসমাজ।

করোনা সাধারণ কোনো রোগ নয়; ক্যান্সার এর চেয়েও ভয়াবহতা অনেক বেশি। ক্যান্সার কোনো সংক্রামক ব্যাধি নয়, আর করোনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটাই হচ্ছে একজন থেকে অন্যজনে সংক্রমিত হওয়া। এটি মোকাবিলায় মূল কাজ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিকেল কর্মীদেরই করতে হয়, বাকিদের কাজ শুধুই সচেতনতামূলক। নিজেদের যতটা সম্ভব বিচ্ছিন্ন রেখে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। নিজেরা সুস্থ্য না থাকলে জনসেবা করাটাও মুশকিল। স্বেচ্ছাসেবী কাজ বলতে সাধারণত স্বার্থহীন কাজকে বোঝায়। অনেকটা বাড়ির খেয়ে বনে মেষ তাড়ানো। বাড়ির খেয়ে রেড জোনে সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে আজ অবধি সেই স্বেচ্চাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

করোনায় দায়িত্বপালন করতে গিয়ে কোন সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী আক্রান্ত হলে ও মারা গেলে তার জন্য অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। সাধারণ ছুটির সময়েও দেশের সব জেলায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আহবানে যুবকরা সে¦চ্ছাসেবা দিয়েছে, এখনও দিয়ে যাচ্ছে। আমরা যখন পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্তে সোফায় বসে টিভি দেখাছি ঠিক তখনই প্রশাসনের সাথে রৌদ্রে-বৃষ্টিতে ভিজে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে আমাদের নিরাপদে রাখার জন্য। প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন, ভাতা, বোনাস পেলেও স্বেচ্ছাসেবী যুবকরা কি পাচ্ছে?

আগামী দিনের কান্ডারী যুব সমাজ। দেশের সব প্রান্তেই মানবতার সেবকরা করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি নিয়েই স্বেচ্ছাসেবা দিচ্ছে। প্রশাসনও তাদের বিভিন্ন কাজে লাগাচ্ছে। আর এই কাজ করতে গিয়ে একের পর এক করোনার আক্রান্ত হচ্ছে। যাদের তালিকা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু বিনাস্বার্থের পরিশ্রমের এই মহান মানুষগুলো খবর কেউ নিচ্ছে কি? কোন স্বেচ্ছাসেবক আক্রান্ত হলে ভূক্তভোগীর পরিবার ছাড়া পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না। প্রতিবেশীরাও বলছে কে বলেছিলো তোমাকে বাড়ির খেয়ে বনের মহিষ তাড়াতে?

সময় এসেছে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ভাবার; কিছু করার। বিশেষ করে যারা এখন শিক্ষার্থী অথচ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে। তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কে জানে এই শিক্ষার্থীই একদিন দেশের একজন হবে না। তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। আজকে যারা নিজেদের, পরিবারের কথা চিন্তা না করে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তারা অবশ্যই সমাজের কল্যানকামী মানুষ। অবশ্যই তারা সমাজকে, সমাজের মানুষকে বেশি কিছু দিতে চায়, সেবা করতে চায়। তারা অবশ্যই অন্যায়ের সাথে আপোষ করে না; তারা মানুষকে ঠকায় না।

আমাদের দেশে চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতার গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার ৯ম গ্রেডের উপর থেকে সব ধরণের কোটা তুলে দিয়েছে। এখনও অনেক সরকারি চাকরিতে বাবার সুবাধে কোটা পাচ্ছে সন্তান, আছে পোষ্য, আনসার ও ভিডিপি, জেলা, উপজাতি, নারীসহ আরো অনেক কোটা। কিন্তু যারা মানুষের কণ্যানে কাজ করছে তারা কোটা দাবী করলে দোষ কোথায়? চাকরির ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা চারিত্রিক সনদ দেয়, কিন্তু করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে চাল-গম চুরির দায়ে কতিপয় জনপ্রতিনিধির চরিত্রের সনদ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সরকারি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। কোন দপ্তরে কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী কাজ, সততা, জনসেবা, ছুটিসহ কাজে ফাঁকি না দেয়া প্রভৃতি বিষয় মূল্যায়ন করা হয় শুদ্ধাচারে। কিন্তু যারা চাকরির আগেই মানুষকে সেবা দিচ্ছে তাদের মূল্যায়ন কিভাবে করবো আমরা?

স্থানীয় প্রশাসন বা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উচিৎ করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবীদের ডাটা বেইজ তৈরি করা। যাতে যে কোন দুর্যোগে তাদের সহজে কাজে লাগানো যায়। স্বেচ্ছাসেবীদের জাতীয় পর্যায় থেকে সনদের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে লিখিত উর্ত্তীণের পরে এক পদের বিপরীতে সাধারণ তিন জন বা অধিক প্রার্থীকে ডাকা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় মেধার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবার সার্টিফিকেট ধারীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তবে দেশ কাজের জন্য নিবেদিত আরো বেশি মানুষ পাবে, শুদ্ধাচার চর্চা আরো অগ্রগামী হবে। করোনার দুর্যোগের স্বেচ্ছাবীরদের মূল্যায়ন দেশ অচিরে করবেই এমন প্রত্যাশা আমারও।

 

লেখক:
নাজমুল হক,
আহবায়ক, স্বপ্নসিঁড়ি, উত্তর কাটিয়া, সাতক্ষীরা।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র উদ্যোগে সিএসওদের ক্যাপাসিটি নিড এ্যাসেসমেন্ট ওয়ার্কসপ

জি.এম আবুল হোসাইন : সাতক্ষীরায় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর উদ্যোগে “স্পিক আপ”বিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাসিক দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

“পূজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরা পিএন স্কুল এন্ড কলেজে নবীন বরণ
  • সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক সম্রাজ্ঞী আনজুয়ারা ও ছেলে গ্রেপ্তার
  • সাতক্ষীরার ফিংড়ী মাদ্রাসায় আলিম প্রথম বর্ষের উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটক
  • সাতক্ষীরায় শিক্ষক কর্মচারীদের অবসর ভাতা প্রদান
  • সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা
  • সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা
  • সাতক্ষীরায় আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরা আদালতে কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা
  • সাতক্ষীরায় ৫৬টি মহিলা সমিতিকে সাড়ে ১৬লাখ টাকার চেক প্রদান
  • ভোমরার মাদক সম্রাট শামীম: দুই যুগের সিন্ডিকেটে নাকানিচুবানিতে প্রশাসন
  • সাতক্ষীরায় ডাকসু’র পক্ষে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ