কলারোয়া হাসপাতালে প্রসূতি মায়ের চিকিৎসায় গাইনী ডাক্তার জরুরী, ফায়দা নিচ্ছে ক্লিনিক
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার লোকের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর যাবত হাসপাতালে গাইনি ডাক্তার না থাকার কারণে সিজারিয়ান অপারেশনসহ সেবা নিতে বাঁধাগ্রস্থ হচ্চেন প্রসূতি মায়েরা।
উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হতদরিদ্র প্রসূতি মায়েদের প্রসাবকালীন যন্ত্রনা নিয়ে হাসপাতালে সিজারিয়ান চিকিৎসা নিতে এসে ফেরত যেতে হয়। আর এতে স্থানীয় কিছু অসাধু ক্লিনিক ফায়দা লুটছেন।
জানা গেছে, কলারোয়া হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটরে সকল যন্ত্রপাতির সুযোগ সুবিধা ও অজ্ঞান (এ্যানেসতেশিয়া) ডাক্তার থাকা সত্তেও গাইনি ডাক্তার না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে প্রসূতি মায়েদের। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের অন্যত্র বা বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে।
অনেকের অভিযোগ, হাসপাতালে অপারেশন বন্ধের সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ক্লিনিক মালিক প্রসাবকালিন মায়েদের চিকিৎসার নামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অপারেশন করেন। এছাড়া ওইসব ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটরের মান নিয়েও সন্ধিহান।
উপজেলার সরসকাটি গ্রামের ভুক্তভোগি প্রসূতি মায়ের অভিভাবক জামাল উদ্দীন জানান, ‘আমি একজন গরীব মানুষ। আমার মেয়েকে বাচ্চা হওয়ানোর জন্য হাসপাতালে যাই। কিন্তু যেয়ে দেখি গাইনি ডাক্তার নেই। তখন উপায়ন্ত না পেয়ে ক্লিনিক নিয়ে যাই।’
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান জানান, ‘দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর যাবত গাইনী কনস্যালটেন্ট ডাক্তার না থাকায় অপারেশনের কার্যক্রম বন্ধ আছে।’
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শফিকুল ইসলাম জানান, ‘র্দীঘ ৯ বছর যাবত অজ্ঞান (এ্যানেসতেশিয়া) ডাক্তার ছিল না, তবে গত দুই মাস হল অজ্ঞান ডাক্তার যোগগান করেছেন। এখন গাইনী ডাক্তার যোগদান করলে অপারেশন শুরু করা যাবে।’
উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রত্যাশা অনতিবিলম্বে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী ডাক্তার আসলে প্রসূতিকালীন মায়েরা জরুরী চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। এ বিষয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)