কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সকল কার্যালয় খুলে দিতে হবে : জামায়াত
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা-মহানগরীর সকল কার্যালয় খুলে দেওয়াসহ ১০ দফা দাবী উপস্থাপন করেছেন দলটি। শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
দাবিগুলো হলো…
১। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবিলম্বে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২। অবিলম্বে আটক জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ সকল নেতাকর্মী ও আলেম-উলামাকে মুক্তি দিতে হবে।
৩। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর মুক্তি না দিয়ে জেলখানায় আটক রাখার বেআইনী, অসাংবিধানিক ও মানবাধিকার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে আটক নেতৃবৃন্দের মুক্তির পরিবর্তে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা ও বন্দি থাকাবস্থায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪। অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা-মহানগরীর সকল কার্যালয় খুলে দিতে। হবে।
৫। সংবিধান স্বীকৃত মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৬। সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরমান আহমদ বিন কাসেম, হাফেজ জাকির হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা আল মোকাদ্দাস ও মোহাম্মদ ওলিউল্লাহসহ নিখোঁজ ব্যক্তিদেরকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
৭। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৮। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় আনতে হবে।
৯। বিদেশে পাচারকৃত সকল অর্থ ফেরত এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১০। বন্ধ সকল চ্যানেল, জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু ও সাংবাদিক দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য হামিদূর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ মোবারক হোসাইন।
আরও বক্তব্য প্রদান করেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মূসা, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহ: সেক্রেটারী মাওলানা মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারী আতিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
নির্বাচনী সংলাপকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। দুবার পাতানো নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো আর ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি নেতা গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সংসদে ১০ ভাগ আসনও পাবে না। তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক।
সংলাপ নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত বছরও ডেকেছে সংলাপের জন্য। ভেবেছি ভালো কিছু একটা হবে। দুবার প্রতারণার শিকার হয়েছি। তাদের কথা আর কেউ শুনবে না। কারণ অতীতে কথা দিয়ে কথা রাখেনি।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতি করছে আর উন্নয়নের কথা বলছে। তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আমরা বলেছি গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন হয় না। আজকে আন্তর্জাতিকভাবেও এটা বলা হচ্ছে। বিদেশি পত্রিকা বলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি আন্ডার গ্রাউন্ডে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে যে ঢাকঢোল পিটিয়েছে, যে টাকা খরচ করেছে এখন সেটা কোথায়? তারা এখন নির্বাচনী ফান্ড তৈরির চেষ্টা করছে। এমনিতেই যেখানে বিমান চলতে পারে না সেখানে এয়ার বাস কেনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দুর্নীতি হবে, আর তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচনী ফান্ড তৈরি করবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)