কেশবপুরে গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা একটি প্রতারক চক্র
সোহেল পারভেজ, কেশবপুর: যশোর কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের গৌরীঘোনা গ্রামে ২০১৫ সালে ভদ্রাপল্লি সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি: গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান শত শত গ্রাহকের টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন এলাকায়র একটি প্রতারক চক্র।
টাকা ফেরত পেতে দারে দারে ঘুরছেন ভূক্তোভূগী গ্রাহকেরা। টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় ও সূবিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন ভূক্তোভূগীরা।
বিভিন্ন দপ্তর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গৌরীঘোনা গ্রামে গড়ে ওঠা ভদ্রাপল্লি সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালক, দেবদাস চক্রবর্তী, অমিত কুমার দাস, প্রবীর চক্রবর্তী,বিলাস দাস সুব্রত বিশ্বাস ও রকি মল্লিক এলাকার পুরুষ ও নারীদের সদস্য তৈরি করে অধিক লাভের প্রোলভন দেখিয়ে ডিপএস ও বড় অংকের ঋণ দেওয়ার শর্তে সঞ্চয় বহি নামে সমিতির বহি খুলে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতিদিন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ডিপিএস ও সঞ্চয়ের টাকা ফিরে পেতে ওই সমিতির মালিকদের বাড়িতে ধর্ণা দিয়েও কাউকে না পেয়ে খালি হাতে ফিরেন বাড়িতে। গত মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগীরা গৌরীঘোনা গ্রামে গড়ে ওঠা ভদ্রাপল্লি সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি:ও সততা বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালক, দেবদাস চক্রবর্তী,অমিত কুমার দাস,প্রবীর চক্রবর্তী,বিলাস দাস সুব্রত বিশ্বাস ও রকি মল্লিকের বাড়িতে টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে অবস্থান করে।
সরেজমিন গৌরীঘোনা গ্রামে ভুক্তভোগীদের নিকট কথা বলে জানা যায়, লাবনী বিশ্বাস সদস্য বই নাং ৪৮,তপতী বিশ্বাস সদস্য নং ৪৯,রেখা খাতুন সদস্য নং ৬২ মিতা মল্লিক সদস্য নং ০৯,লিটন বিশ্বাস সদস্য নং ৫০,সজীব দাস সদস্য ২৬,সজ্ঞিতা দাস সদস্য নং ৪৬,ও ২৭, লিপিকা মল্লিক সহ একাধিক সদস্যদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে বহি হাতিয়ে নিয়েছে।এখন তারা নিথর।
টাকা ফেরত পাওয়া ও সুবিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। সমিতির বই সুত্রে,যার রেজিষ্ট্রেশন নং- ২৪ জে ২০১৫। গৌরীঘোনা গ্রামের সুধীর বিশ্বাসের ছেলে ভুক্তভোগী তাপস বিশ্বাস বলেন, আমিও একজন সদস্য হই এবং এককালীন ২% হারে লাভাংশ দেয়ার শর্তে গত ০১/১২/২০১৫ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পঞ্চাশ টাকার স্টাম যার নং কঘ ৮৮৪২২৭৫ এ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও ০১/০২/২০১৬ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পঞ্চাশ টাকার স্টাম যার নং কঙ ১৭৭৮৫১৪ এ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যাসায়িক চুক্তি পত্রে উভয়পক্ষের সাক্ষরিত হয়।
আমাদের টাকা না দিয়ে বিলাশ বহুল বাড়ি বানিয়েছেন তারা। সেই থেকে অদ্যবদি টাকা ফেরত না পেয়ে আমি নিজে বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করি। গত ২৮/০৬/২১ইং তারিখে অফিসার ইনচার্জ কেশবপুর, ১৮/০৭/২১ইং তারিখে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ৩০/০৩/২৩ ইং তারিখে গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর অভিযোগ করি।
অভিযোগ করেও কোন সুফল পাচ্ছি না। আপনাদের সংবাদ পত্রের প্রচারের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো: মোখলেছুর রহমান বলেন,অভিযোগ পেয়ে, অভিযোগের ভিতিত্তে বিবাদীদের গ্রাম আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ করি। তিনবার নোটিশ করা হলেও গ্রাম আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলাটি চলোমান রয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)