মুরারীকাটি মাঠে জলাবদ্ধতা
ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস্তব চিত্র প্রকাশের অনুরোধ কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের
কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি আমার কোন দুর্নীতি ও অনিয়ম খুঁজে পেলে প্রকাশ্যে তুলে ধরুন। তবে কোন প্ররোচনায় না পড়ে সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক সংবাদ পরিবেশন করলে বাস্তব চিত্র ফুঠে উঠবে, সকলে সেটা জানতে পারবে।’
পৌরসভার মুরারীকাটি গ্রামের বিলে পানি ওঠার প্রেক্ষিতে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে ও সঠিক চিত্র তুলে ধরতে বৃহষ্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাস্তার উত্তর পার্শের পানি দক্ষিণ পাশে প্রবাহিত হয় প্রায় দেড়শো বছর ধরে। পানি প্রবাহের প্রাকৃতিক ধারা রুখতে অবৈধভাবে মুরারীকাটি ৭নং ও ৮নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থল হাবুজেল মোড় নামক স্থানে সরকারি রাস্তার একটি কার্লভার্টের মুখ বালির বস্তা দিয়ে বন্ধ করে দেন স্থানীয় গুটিকয়েক ব্যক্তি। পরবর্তীতে ২৯ জুলাই সেই অবৈধ বালির বস্তার বাঁধা অপসারণ করেন স্থানীয় জনগণ। তখন তেমন বৃষ্টি শুরু হয়নি, শুষ্ক ছিলো। সম্প্রতি কয়েকদিন ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় মুরারীকাটিসহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ফসলি মাঠে পানি জমে গেছে। অথচ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে গুটিকয়েক ব্যক্তি বাস্তবতার পরিবেশ ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চালিয়ে আমাকে দোষারপ করছেন। অথচ উল্লিখিত স্থানের বেশিরভাগ জমিজায়গা আমার পরিবারের, বরং যারা অভিযোগ করেছেন তাদের কোন জমি নেই। তাছাড়া মুরারীকাটি বিলে আমার পরিবারের ঘেরে পানি সরবরাহের জন্য পারিবারিক দু’টি গভীর নলকূপ (ডিপটওয়েল) রয়েছে, পার্শ্ববর্তী আরো একটি গভীর নলকূপ ইজারা নেয়া আছে। সুতরাং আমার ঘেরে পানি নেয়ার জন্য বৃষ্টির পানির জন্য অপেক্ষা করা লাগে না।’
পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু অভিযোগ করেন, ‘জেলা প্রশাসন স্বাভাবিক পানিপ্রবাহে অবৈধ নেটাপাটা/ বাঁধা দেয়ার বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে সরকারি রাস্তার সরকারি কার্লভার্টের মুখে কোন ক্ষমতাবলে বালির বস্তা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো?’
তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা-১ আসনে মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ মহোদয় মুরারীকাটি মাঠের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ও যাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় সেজন্য ৩লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। অথচ স্থানীয় গুটিকয়েক ব্যক্তি পানি প্রবাহের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেন।’
আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, ‘কলারোয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের একটি কালভার্টের মুখ আটকে রাখা হয়েছিল। ৮নং ওয়ার্ডের মানুষের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার তারাই কালভার্টের মুখ খুলে দিয়েছেন। এতে তারই ১০০ বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। যাদের ওই বিলে কোন জমি নেই তারাই এ ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে।’
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস্তব চিত্র প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)